লাইন রেফারি আর রেফারির মধ্যে গরমিল, মন ভরেনি দর্শকের, ১৬৫ জন স্থানীয় ফুটবলার খেলেছেন

বরাক তরঙ্গ, ৭ সেপ্টেম্বর : লাইন রেফারি আর রেফারির মধ্যে গরমিল দেখা যায় মাতৃভূমি কাপের ফাইনাল ম্যাচে। খেলার দ্বিতীয়ার্ধ্বে লাইন রেফারি প্রবীণ বর্মণ আউট বলের সিগন্যাল দিলে রেফারি শামিম আহমদ বড়ভূইয়ার নজর পড়েনি। বল আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডিয়ান এফসির খেলোয়াড় বল হাতে থ্র দিয়ে দেন। এ দিকে, প্রবীণ বর্মণ থ্র-র সিগন্যাল দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইন্ডিয়ান এফসির দিকে। কিন্তু রেফারির নজর এড়িয়ে যায়। এ ছাড়া লাইন রেফারির রানিং ছিল দুর্বল। কিন্তু বিষয়গুলো দর্শকদের চোখ এড়ায়নি।

মন ভরেনি দর্শকের
দর্শকদের মনের আশা পূরণ করতে পারেনি ফাইনাল ম্যাচ। পর পর তিনটি গোল হয়ে যাওয়ায় দর্শকরা মনের মতো খেলা উপভোগ করতে পারেনি। বলতে গেলে এক তরফা হয়ে যায় ফাইনাল ম্যাচ। প্রথমার্ধ্বে তিনটি গোল হলেও দর্শকের অধিকাংশই ম্যাচ ফিরবে এমন বুকভরা আশা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ্বে খেলা দেখতে শুরু করেন। কিন্তু লোকনাথপুরের খেলোয়াড়দের খেলা দেখে হতাশ হতে হয় দর্শকদের। খেলা শেষ হওয়ার আগেই আসন ছাড়তে বাধ্য হন দর্শকরা।

১৬৫ জন স্থানীয় ফুটবলার খেলেছেন
১৬৫ জন স্থানীয় ফুটবলার মাতৃভূমি কাপে খেলেছেন। এগারোটি দল স্থানীয় খেলোয়াড় নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। এ কথা জানালেন মাতৃভূমির সভাপতি সিতাংশু দাস। এও বলেন, জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়রা যেমন খেলেছেন তেমনই স্থানীয়রাও। কিছু লোকের ভুল ধারনা যে মাতৃভূমি কাপে স্থানীয়রা সুযোগ পায় না। আরও বলেন, মাতৃভূমি কাপ ফুটবল ম্যাচ নয় ভালবাসার ম্যাচ। সবার ভালবাসায় সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়।

নিখোঁজ কিশোর
দর্শকদের ভিড়ে এক কিশোর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। জিৎ মাল নামে দশ বছরের কিশোরটি তার বাবার সঙ্গে খেলা দেখতে আসে। খেলা চলাকালীন দর্শকের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে যায়। সম্ভবত খেলা শেষে জিৎ তার বাবার সন্ধান পেয়েছে।

মাতৃভূমির প্রশংসা রূপম সাহার
মাতৃভূমি সামাজিক সংস্থার ভূয়শী প্রশংসা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি রূপম সাহা। তিনি বলেন এই অঞ্চলে ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মাতৃভূমি সামাজিক সংস্থা তা প্রশংসনীয় । শুধু খেলাধূলা নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্তেও মাতৃভূমি-র উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হচ্ছে আরও একটি গ্যালারি
মাঠে আরও একটি হচ্ছে গ্যালারি। বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস ধলাই বাম নিত্যানন্দ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গ্যালারি নির্মাণের জন্য তিনি আনটাইড ফান্ড থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, এমাসেই কাজ শুরু হবে।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
খেলা শুরু হওয়ার আগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ঝুমুর নৃত্য, পরিবেশন করেন মনিয়ারখাল চাবাগানের শিল্পীরা। তাছাড়াও ধামাইল নৃত্য, বিহু নৃত্য, ওড়িয়া নৃত্য, ডিমাসা নৃত্য, মণিপুরি নৃত্য। মাতৃভূমি সামাজিক সংস্থার মহিলা ফুটবলাররাও নৃত্য পরিবেশন করেন।

Spread the News
error: Content is protected !!