মুখ্যমন্ত্রীর সভায় শোরগোল, নিয়োগের দাবিতে মমতার সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
২৭ আগস্ট : টেট উত্তীর্ণ হয়েও আজ অবধি মেলেনি শিক্ষকতার চাকরি। নিয়োগের দাবির কথা তুলে ধরতে টেট উত্তীর্ণরা মঙ্গলবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে পৌঁছে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় বক্তব্য রাখার সময়েই নিয়োগের দাবির কথা লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাঁরা সভামঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার তাল কাটে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী সভায় বক্তব্য রাখা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত আসরে নামে পুলিশ। টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্লাকার্ড কেড়ে নিয়ে ও আবেদনপত্র জমা নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী পুণরায় বক্তব্য রাখা শুরু করেন।
দুই বর্ধমান জেলাকে নিয়ে এদিন বর্ধমানের মিউনিসিপাল বয়েজ স্কুলের মাঠে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিক ছাড়াও রাজ্যের এক ঝাঁক মন্ত্রী ও বিধায়ক ওই প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরুর অনেক আগে থেকে সভামঞ্চের একেবারে সামনের দিকে একে একে এসে বসে পড়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ একদল চকরিপ্রাথী। তাঁরা যে টেট উত্তীর্ণ এবং তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়োগের দাবির কথা তুলে ধরতে এসেছেন, তা তাঁরা কাউকে বুঝতেই দেননি। সভাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরাও কিছু টের পাননি। মুখ্যমন্ত্রী সভা শুরুর কিছু সময় পর হঠাৎই তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে পড়ে তাঁদের দাবির কথা তুলে ধরেন। এরপরেই সভাস্থলে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে পৌঁছে অবিলম্বে নিয়োগের দাবির কথা তুলে ধরা চাকরিপ্রার্থী আয়েষা খাতুন বলেন, “আমরা সবাই পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। আমরা ২০২২ এর প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণ। স্বচ্ছভাবে আমরা পাশ করেছি। কিন্তু আজ অবধি আমদের নিয়োগ হয়নি। আমরা চাই, চেয়ারম্যানের ঘোষণা মত ৫০ হাজার শূন্যপদে আমাদের নিয়োগ করা হোক। এই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতেই আমরা সভায় এসে ছিলাম। আমরা সভা ভণ্ডুল করতে আসিনি। আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবেন।”
অপর চাকরিপ্রার্থী রেহানু খাতুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি বক্তব্য পৌঁছানো খুবই কঠিন। তাই আমরা আমাদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে এদিন বর্ধমানের প্রশাসনিক সভাস্থলে পৌছে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আবেদনের কথা জানতে পেরেছেন এতে আমরা খুশি। আশাকরি এবার আমাদের কিছু একটা হিল্লে হবে। সভার শেষে পুলিশ পাহারা দিয়ে আমাদের বাইরে বার করে দিয়েছে। পুলিশ খারাপ কারোর সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করেননি।”