নানা কর্মসূচিতে সংস্কৃত দিবস পালিত আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

বরাক তরঙ্গ, ১৩ আগস্ট : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে বুধবার উদযাপিত হল সংস্কৃত দিবস। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রাজীবমোহন পন্থ, ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা কেন্দ্রের নির্দেশক অধ্যাপক এম গঙ্গাভূষণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্কুল অব ইন্ডিয়ান ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার বৈশ্য, সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন অধ্যক্ষা স্নিগ্ধা দাস রায়, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ ড.শান্তি পোখরেল, ড.গোবিন্দ শর্মা প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হিন্দি, বাংলা সহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, ছাত্র-গবেষকদের পাশাপাশি গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয় ও শিলচরের ব্রহ্মজ্যোতি মহিলা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃত বিভাগের প্রাচীর পত্রিকার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন উপাচার্য অধ্যাপক পন্থ। এবারের প্রাচীর পত্রিকার বিষয়বস্তু ছিল অসম প্রদেশে সংস্কৃতচর্চা। উন্মোচন করা হয় বিভাগীয় পত্রিকা বাগীশ্বরীর ঊনবিংশতিতম খণ্ড। স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল। আধুনিক যুগে সংস্কৃতের প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গেও তিনি বিশেষ বক্তব্য রাখেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা কেন্দ্রের নির্দেশক এম.গঙ্গাভূষণ বলেন, সংস্কৃত শুধুমাত্র হিন্দুধর্মের ভাষা নয়, এটি সর্ববৃহৎ জ্ঞানের ভাণ্ডার।

নানা কর্মসূচিতে সংস্কৃত দিবস পালিত আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

উপাচার্য অধ্যাপক পন্থ সংস্কৃত ভাষা ও ভারতীয় ঐতিহ্য, ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরায় সংস্কৃতের অন্তর্ভুক্তিকরণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপিকা ড.স্নিগ্ধা দাস রায়। শেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড.গোবিন্দ শর্মা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাগীয় গবেষক বিক্রম বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, সংস্কৃত বিভাগে গত ৬ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত যে সরল সংস্কৃত সম্ভাষণ বর্গ চলেছিল, সেই বর্গে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা এদিনের অনুষ্ঠানে নিজেদের অনুভব ব্যক্ত করেন। পরে ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র প্রদান করা হয়।

এদিন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক নৃত্যেন্দু বিকাশ দাস সংগীত পরিবেশন করেন। সংস্কৃত বিভাগের গবেষিকা তানিয়া পাইন গণেশ বন্দনায় নৃত্য প‍রিবেশন করেন। স্নাতকোত্তর প্রথম সত্রের ছাত্রছাত্রীরা সখীসম্ভাষণ এবং দূরবাণীসম্ভাষণ উপস্থাপন করেন। পরিবেশিত হয় লঘুনাটকও।

এছাড়া সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী সুস্মিতা চক্রবর্তী নৃত্য পরিবেশন করেন। পারফর্মিং আর্টস বিভাগের গবেষিকা সায়ন্তনী ও স্বীকৃতি সংগীত পরিবেশন করেন। গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেন।

Spread the News
error: Content is protected !!