ভোটার তালিকায় দু’জায়গায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম
১১ আগস্ট : বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে রীতিমতো হট্টগোল চলছে সে রাজ্যে। এই আবহে তেজস্বী যাদবের দাবি ঘিরে ফের তোলপাড় বিহার। তেজস্বী যাদব দাবি করেছেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিনহার নাম ভোটার তালিকায় দু’জায়গায় আছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। একই ব্যক্তির নাম কীক’রে পাটনার লখিসরাই এবং বাঁকিপুর কেন্দ্রের তালিকায় আসে সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তেজস্বী। বিজয়কুমারের নামে যাতে এফআইআর হয় সে দাবিও করেন তেজস্বী।
এ নিয়ে রবিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। সেখানে বিজয়ের ইপিআইসি নম্বর দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দু’টি নম্বর দু’টি আলাদা বিধানসভা কেন্দ্রের।’ পাশাপাশি দু’জায়গায় দু’রকম বয়স পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তেজস্বীর কথায়, ‘দুই কার্ডে বিজয়কুমারের আলাদা আলাদা বয়স লেখা রয়েছে। বাঁকিপুরে তাঁর বয়স ৬০। আবার লখিসরাইয়ে ৫৭। সুতরাং হয় তিনি এই দুটি ইপিআইসি নম্বর ইস্যু করার জন্য নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, নয়তো পুরো বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াটিই আসলে ধাপ্পাবাজি।’
তেজস্বীর পালটা দিয়েছেন বিজয়কুমারও। তিনি বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ফর্মও ফিলআপ করেছি। লখিসরাইয়ের ভোটার তালিকায় আমার নাম ছিল।’ জানা গিয়েছে, যেহেতু দুই জায়গাতেই তাঁর নাম রয়েছে, তাই বাঁকিপুরের ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দিতে চান বিজয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বড় মাত্রায় ভোট কারচুপির অভিযোগ করছেন লালু-পুত্র। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যদি কারও নাম না থাকে কিংবা যদি এমন কোনও নাম থাকে যা থাকার কথা নয় তাহলে আবেদন করে নির্বাচন কমিশনে জানাতে হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এই সংশোধনের কাজ চলবে। এরপরই বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।