ভরসাস্থলে বিশ্বাসঘাতকতা
বরাক তরঙ্গ, ১১ আগস্ট, সোমবার,
বরাকের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কম খরচে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একটি ভরসাস্থল ছিল শিবসুন্দরী নারীশিক্ষা সেবাশ্রম। কিন্ত সেই ভরসাস্থলে বিশ্বাসঘাতকতা। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং জীবনের গুরুত্ব না দেওয়ায় হাসপাতালের প্রতি কীভাবে ভরসা করবেন লোকরা। অসহায় মানুষকে কম পয়সায় সেবা দিতে গিয়ে হাতুড়ি ও ভুয়ো ডাক্তারের আশ্রয় এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে।
সুস্থ জীবনযাপন করতে হাসপাতালের আশ্রয় নেওয়া মানুষকে যদি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। সেবার নামেও যদি প্রতারণা হয় তাহলে বিশ্বাস আর কোথায়। মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে চিকিৎসায় তাঁর শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেয়। কেননা সে সুস্থ হয়ে উঠবে এই বিশ্বাসটা চিকিৎসকের প্রতি তাঁর রয়েছে। আর এই বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করতে একবারও বিবেকে বাধা দেয়নি। আক্ষেপের বিষয়।
এই প্রতারণা বা ভুয়ো চিকিৎসা দেওয়া অসহায় লেকটির জীবন নিয়ে ছেলেখেলা নয় একটি বেআইনি কাজ। এ কাজে প্রতিনিয়ত নিরীহ রোগীদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এধরনের চিকিৎসা অনুশীলনকারীরা সঠিক শিক্ষাগত যোগ্যতা বা চিকিৎসা সংক্রান্ত লাইসেন্স ছাড়াই নিজেদের ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন, যা ভারতের মেডিক্যাল আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নারীশিক্ষা সেবাশ্রম থেকে ভুয়ো চিকিৎসক পুলক মালাকারকে গ্রেফতারের পর শিলচর শহরের বিভিন্ন সংগঠন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। শিলচর শহর সহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোম এবং ক্লিনিকে অভিযান চালালে এমন আরও ভুয়ো ডাক্তার বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বরাকের আওয়াজের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তাদের এ দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখুক জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।