পাথারকান্দি মডেল এইচএস স্কুলে ‘নিযুত মইনা’ প্রকল্পের আবেদনপত্র বিতরণ
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৮ আগস্ট : কন্যাশিক্ষায় নতুন দিগন্তের সূচনা! বাল্যবিবাহের অভিশাপ রোধ এবং ছাত্রীদের শিক্ষাগত ও আর্থিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে চালু হওয়া মুখ্যমন্ত্রী ‘নিযুত মইনা’ প্রকল্প এবার পাথারকান্দি মডেল উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পৌঁছে গেল। শুক্রবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রীদের হাতে প্রকল্পের আবেদনপত্র তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, এদিন বিদ্যালয়ের মোট ২৩১ জন ছাত্রী-র হাতে প্রকল্পের আবেদনপত্র তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা বীনারানি সিনহা এবং শিক্ষা বিভাগের শ্রীভূমি জেলার ডিপিও পঞ্চতপা চৌধুরী। তাঁদের হাত দিয়েই ছাত্রীদের হাতে আবেদনপত্র বিতরণ করা হয়।
বিশিষ্ট অতিথিরা ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূর করার লক্ষ্যে নিযুত মইনা প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি কন্যাশিক্ষার উন্নয়নে এক আশাব্যঞ্জক দিশা দেখাচ্ছে।তাঁরা আরও জানান, এই প্রকল্প শিক্ষিত ও আত্মনির্ভর নারী সমাজ গঠনের পাশাপাশি সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বক্তারা রাজ্যের মৎস, পশুপালন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী এবং পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের ভূমিকাও প্রশংসার সঙ্গে তুলে ধরেন, যাঁর কার্যকর নেতৃত্বে এই অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বিদ্যালয়ের শিক্ষক পৃথ্বিশ রায় স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ছাত্রীদের উচিত অধ্যবসায় ও আত্মনিবেশের মাধ্যমে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। তাহলেই মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প তার প্রকৃত সার্থকতা পাবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সদ্য-অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময় নাথ, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য শান্তিলাল সিনহা, পাথারকান্দি সমবায় সমিতির সচিব বিজয় বণিক, সমাজসেবী নব কুমার সিনহা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ।