মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর বিরুদ্ধে কুৎসাকারীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ইচাবিল চা-বাগান
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ ২৩ জুলাই : শ্রীভূমি জেলার পাথারকান্দি বিধানসভার অন্তর্গত লোয়াইরপোয়া ব্লকের ইচাবিল চা বাগানে সরকারি জমি দখল, রাজনৈতিক কুৎসা আর ষড়যন্ত্রের ছায়ায় এবার উত্তাল ইচাবিল চা বাগান। চা-শ্রমিকদের জমি নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব, আর সেই মিথ্যে অভিযোগে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালকে। কিন্তু এবার মুখ খুললেন বাগানের প্রকৃত বাসিন্দারা। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁরা জানালেন, এ এক নিখাদ চক্রান্ত! মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়।কারণ, এক শ্রেণির ভূমিদস্যু ও রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী চক্র এই বাগান ও তার শ্রমিকদের টার্গেট করেছে, আর মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে একজন জনপ্রিয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার একজোট হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুললেন শ্রমিক ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। এমর্মে বুধবার ইচাবিল চা বাগানের একজোট শ্রমিক, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকরা এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। অভিযোগ উঠে, কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক ইন্ধনে শ্রমিকদের জমি জবরদখল করে নিচ্ছে এবং সেই সঙ্গে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে নিরপেক্ষ ও উন্নয়নমুখী রাজনীতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।

এমন চরম দুঃসময়ে, গোটা বাগানবাসীর জন্য একমাত্র আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছেন পাথারকান্দি বিধানসভার বিধায়ক ও রাজ্যের মৎস্য, পশুসম্পদ ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। শ্রমিকদের মতে, মন্ত্রী শুধু নেতা নন, তিনি একজন অভিভাবক যিনি শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন, প্রয়োজন অনুযায়ী তৎপরতায় ব্যবস্থা নেন।
অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ইচাবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সভানেত্রী সবিতা কুর্মি বলেন এটা এক সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্ত।তিনি এও জানান মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল আমাদের হৃদয়ের মানুষ। তাঁকে টার্গেট করে কিছু দুষ্কৃতী এবং কু-মতলবি চক্র সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে জালাল উদ্দিন খান নামক ব্যক্তি নানা রকম মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ও সামাজিক মর্যাদাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, মন্ত্রী সবসময় বাগানবাসীর পাশে থেকেছেন। নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠিয়ে প্রতিটি সমস্যার সমাধানে নজর দেন।মন্ত্রীর নামে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি বলেন সবিতা।

ইচাবিল বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি রাজু কুর্মি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন ভূমিদস্যুদের মদত পেয়ে চা শ্রমিকদের হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে এই চক্রান্তের পেছনে রয়েছে বিরোধী কংগ্রেস দলের কিছু নেতা, যারা জালাল উদ্দিনকে ব্যবহার করে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে। কিন্তু জনগণ সব বুঝে গেছে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইচাবিল চা বাগানের চেহারা পাল্টে গেছে।রাস্তাঘাট, পানীয় জল, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, অরুণোদয় প্রকল্প সব বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। তিনি চেষ্টা করছেন যাতে ভূমিহীন শ্রমিকদের নামেই সরকারিভাবে জমির বন্দোবস্ত করা যায়। চক্রান্ত কারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। গ্রাম পঞ্চায়েত সভানেত্রীর প্রতিনিধি এবং সমাজসেবী রতন কুর্মি বলেন,
বহু বছর ধরে বহিরাগতরা শ্রমিকদের জমি দখল করে রেখেছিল। সেই জমি উদ্ধারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। আজ সেই কাজেই বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে কিছু কুচক্রী ব্যক্তি।তিনি তাদের এমন কান্ডের তীর্ব প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিত্গত ২০১৬ সালের পর থেকে কৃষ্ণেন্দু পাল যে ভাবে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরাও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এবং সবসম পাশাপাশি আছি।সুবিধাভোগী এক চক্রের অপচেষ্টা সফল হবে না। তরুণ নেতা রাজীব ভূমিজ জানান, জালাল খান শুধুমাত্র নিজের স্বার্থেই এই অপপ্রচারে নেমেছে। কিন্তু সে সফল হবে না, কারণ শ্রমিকদের হৃদয়ে কৃষ্ণেন্দু পালের জন্য অগাধ ভালোবাসা আছে।স্থানীয় বুথ সভাপতি শ্যাম কুর্মি বলেন জমির বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। কিন্তু ইচ্ছে করে মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এই অপচেষ্টা আমরা ধিক্কার জানাই।
সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে বাগানবাসী ও পঞ্চায়েত সদস্যরা মিলে জোরালো কণ্ঠে স্লোগান তোলেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল জিন্দাবাদ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জিন্দাবাদ জালাল উদ্দিন খান মুর্দাবাদ এতে ইচাবিল চা কারখানা চত্বর প্রতিবাদে প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কোঁহার, মায়া রবিদাস, রাজকুমার নুনিয়া, দিপাস মুড়া, লক্ষ্মী মুড়া, বুলন নুনিয়া, রঞ্জু নুনিয়া প্রমুখ। তাঁদের কণ্ঠে ছিল বেদনা, প্রতিরোধ এবং পরিবর্তনের প্রত্যয়।তারা সবাই এক বাক্যে বলেন জনগণের নেতা, চা,শ্রমিকদের আশ্রয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল জিন্দাবাদ ধ্বনি তোলে আকাশ বাতাশ কাপিয়ে তোলেন। এই অবস্থায় ইচাবিল চা-বাগানের এই আন্দোলন আজ শুধু জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, বরং ন্যায়, উন্নয়ন ও মানবিক নেতৃত্বের পক্ষে এক শক্তিশালী জবাব। মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল আজ শুধু একজন জনপ্রতিনিধি নন তিনি হয়ে উঠেছেন সাধারণ শ্রমিকের ভরসার প্রতীক।