কাটিগড়া চৌরঙ্গী সেন্ট্রাল হসপিটালে প্রসূতির মৃত্যু, তীব্র উত্তেজনা, আটক ৩
বরাক তরঙ্গ, ১১ জুলাই : প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র কাটিগড়া চৌরঙ্গী সেন্ট্রাল হসপিটাল (বেসরকারি নার্সিং হোম)। মারমুখী জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় কাটিগড়া পুলিশকে। ছুটে আসেন কাটিগড়া সার্কল ম্যাজিস্ট্রেট। রাতে দুই চিকিৎসক ও এক ল্যাবরোটরি টেকনিশিয়ানকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে।

এ দিন নার্সিং হোমে চিকিৎসারত কালাইন ডিগাবর রোডের বাসিন্দা রমজানা বেগম (২৩) নামের মহিলার মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিবারের লোকদের অভিযোগ মতে, কালাইন ডিগাবর রোডের বাসিন্দা রমজানা বেগমকে সকাল দশটায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেল দু’টা নাগাদ চিজার করানোর জন্য রোগীকে অপারেসন থিয়েটারে ঢুকানো হয়। তিনটার সময় সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্মে হয়। শিশুর জন্মের পর রোগীর পরিবারের সদস্যরা রমজানাকে দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পক্ষ টাল বাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের সন্দেহ হলে তাঁরা তদন্ত করে জানতে পারলেন যে রোগীর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। তাদের অভিযোগ হাসপাতালে কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই। নার্সদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এর আগেও তিনজন প্রসূতি রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

এরপর হাসপাতালে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ বাহীনি মোতায়েম। উপস্থিত হন সার্কল অফিসারও। এরপর রাতে দুই চিকিৎসক ও এক টেকনিশিয়ানকে আটক করা হয়। হাসপাতালের মালিক পলাতক বলে জানা যায়।