মহরম উপলক্ষে শরবত বিতরণ জেলার বিভিন্ন স্থানে, খিচুড়ি তৈরিতে বাধা পুলিশের সোনাবাড়িঘাটে

বরাক তরঙ্গ, ৬ জুলাই : সারা মুসলিম বিশ্বে আজ কারবালার স্মৃতিতে শোক পালন করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হচ্ছে। বরাকেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন হচ্ছে ১০ই মহরম। কারবালার যুদ্ধের স্মৃতিতে কোথাও লাঠিখেলা, আবার কোথাও জারি গান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শিরনি বিতরণ চলছে। মহরমের দিনে সরবত অর্থাৎ জল পান করানো এবং খিচুড়ি বণ্টন করা হয় বিভিন্ন স্থানে।

এদিন শিলচরের কাঁঠাল পয়েন্টে, বটেরতল, ফজলশাহ মোকাম পয়েন্ট, বাকরশাহ মোকাম পয়েন্ট, রামনগর, সোনাবাড়িঘাট, সোনাই সহ বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সরবত তুলে দেন যুবকরা। এর  কারণ হচ্ছে  কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন এর কাফেলা যখন পৌঁছায়, তখন তারা জলের পিপাসায় তীব্রভাবে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় ইউফ্রেটিস নদী তাদের থেকে খুব দূরে ছিল না, কিন্তু শত্রুরা তাদের জল সংগ্রহ করতে দেয়নি। ইমাম হোসেনের শিশু সন্তানরাও পিপাসায় কাতর হয়ে ছটফট করা ছিল কারবালার ময়দানে। সেই পিপাসার কথা স্মরণ করে মানুষের উদ্দেশ্যে এই শরবত বিতরণ করা হয়।

এ দিকে, এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটল সোনাবাড়িঘাটে। সোনাবাড়িঘাট জিপির সৈদপুর চতুর্থ খণ্ডের কিছু যুবক মহরম উপলক্ষে সড়কের পাশে খিচুড়ি তৈরি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। সড়কের পাশ সরিয়ে কারও বাড়িতে আয়োজন করতে বলে পুলিশ। যুবকরা ভয়ে আয়োজন বাড়িতে নিয়ে যান। পুলিশের এহেন ভূমিকায় তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেন। কে বা কারা পুলিশে অভিযোগ করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান যুবকরা। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিরা পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ হয়নি। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়।

মহরম উপলক্ষে শরবত বিতরণ জেলার বিভিন্ন স্থানে, খিচুড়ি তৈরিতে বাধা পুলিশের সোনাবাড়িঘাটে

Author

Spread the News