হিংসা-বিদ্ধেষ ও অহংকার মানুষের অধঃপতন ঘটায় : বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী
শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের ৩৬ তম বার্ষিক উৎসব সম্পন্ন
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জুন : সোনাইয়ের শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের ৩৬ তম বার্ষিক উৎসবের সমাপ্তি হল বিভিন্ন সনাতনী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল রবিবার ১২ জুন শ্রীশ্রী মহারুদ্র অভিষেক, সাধু ভান্ডারা ও দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, বরাক উপত্যকার তিন জন বিশিষ্ট সাংবাদিক অনুপম মন্ডল, অন্তরা মুখার্জি ও শমিদ্র পাল প্রমুখদের উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মান প্রদান করেন শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।
সেদিন সনাতন ধর্ম সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারত সেবাশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী মৃন্ময়ানন্দ মহারাজ বলেন, ভারতবর্ষকে যদি জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেতে হলে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধভাবে সেবাকর্মে ও শিক্ষার গ্ৰহনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে কেননা, কেবল হিন্দুদের কাছেই শক্তি-বল-বীর্য রয়েছে, শুধু প্রকৃত আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার প্রয়োজন।
জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেতে হলে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধভাবে সেবাকর্মে ও শিক্ষার গ্ৰহনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে : মৃণ্ময়ানান্দজি
শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, যুগ-যুগান্তর হইতে ঋষি-মুনি অধ্যুষিত এই পূণ্যভূমির আকাশ- বাতাশ সহ প্রত্যেক ধূলোকনাটিও পবিত্র। বর্তমান দিনে হিন্দুদেরকে শিক্ষার সঙ্গে হিংসা বিহীন সৎ চিন্তাধারার আন্তরিকতার একান্ত প্রয়োজন। কেননা, সৎ আন্তরিকতাই মানুষকে ঈশ্বর লাভের পথে অগ্ৰসর করে আর হিংসা-বিদ্ধেষ ও অহংকার মানুষকে ক্রমশ অধঃপতনের দিকে নিয়ে যায়। সনাতন ধর্মই তপোভূমি ভারতের প্রাণ।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানমালার পরিচালনায় ছিলেন কাশী থেকে আগত আচার্য শ্রীমৎ জ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, আচার্য জ্যোতির্ময়ানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।পরবর্তীতে সনাতন ধর্মীয় ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ পরেরদিন ১৩ জুন সোমবার শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠ, শ্রীশ্রী গুরুপূজা, বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ, দুই দিন প্রায় এক হাজার ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরন, সমবেত প্রার্থনা ও শান্তিবাণী পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান মালার সমাপ্তি ঘটে।উক্ত শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী সূর্য্যানন্দ গিরি মহারাজ, ভোলাগিরি আশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, মাতাজী কুমারী ময়ী ব্রহ্মচারিনী, শ্রীমৎ স্বপ্রকাশানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ বিশ্বেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, দয়াময়ী ব্রহ্মচারিনী এবং বার্ষিক উৎসব পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে দিলীপ মিত্র, মিঠু চৌধুরী, নেপাল চৌধুরী, রেবতীরঞ্জন তালুকদার, বাপন দেবরায়, প্রিয়তোষ মিত্র (কাবুল), রতন দে, কাজল দে সহ আরও অনেকে সহযোগিতায় ছিলেন।