দিল্লির উদ্দেশে লক্ষীপুরের আনারস, লরির ফ্ল্যাগ অফ কৃষি আধিকারিকের

জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩ জুলাই : জৈব চাষের প্রসার এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কাছাড়ের জেলা কৃষি আধিকারিক ড. এআর আহমেদ লক্ষীপুর থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে ২০ মেট্রিক টন জৈব আনারসের একটি বিশাল চালান আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রার সূচনা করেন। এই আনারসগুলি উৎপাদন ও প্যাকেজিং করেছে মার অ্য়াগ্রো অর্গানিক প্রোডিউসার কোম্পানি লিমিটেড এবং এই চালানটি প্রেরণে সহায়তা করেছে ট্রাইফ্যাক অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। কৃষক ও বেসরকারি অংশীদারদের এই যৌথ উদ্যোগে কাছাড়ের জৈব চাষের সাফল্য আরও একবার প্রমাণিত হলো।

এ প্রসঙ্গে এআর আহমেদ জানান, বর্তমানে কাছাড়ের রাজাবাজার, বিনাকান্দি ও লক্ষীপুর ব্লক জুড়ে প্রায় ১,৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ২,০০০ কৃষক জৈব আনারস চাষ করছেন, এবং প্রতি বছর প্রায় ৪০,০০০ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই আনারসগুলো ইতিমধ্যেই মিজোরাম, নাগাল্যান্ডসহ ভারতের নানা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে এবং গত বছর এক চালান দুবাইতেও রপ্তানি করা হয়েছিল। সড়ক যোগাযোগ পূর্ণভাবে পুনরায় চালু হলে গুয়াহাটি থেকে বিমানের মাধ্যমে আরও একটি চালান শীঘ্রই দুবাইতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. নিখিলচন্দ্র দাস, উপ-বিভাগীয় কৃষি আধিকারিক (উদ্যানপালন); অসম গৌরব সম্মানপ্রাপ্ত মন্থন মার; এফপিসি-র সভাপতি লালপিয়াং মার এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মাখনলাল দোসাদ। তাঁদের উপস্থিতি কৃষকদের ক্ষমতায়ন ও কাছাড়ের জৈব ফসলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করার সংকল্পকে আরও জোরদার করল। এই মাইলফলক কেবল কাছাড়কে একটি টেকসই কৃষির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে না, বরং কৃষকদের কাছে জৈব চাষকে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে গড়ে তোলার আত্মবিশ্বাসও জোগাচ্ছে।

Author

Spread the News