যৌন লালসার শিকার শিশু কন্যা, গ্রেফতার যুবক
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ৩ জুলাই : ধলাই থানা এলাকার পালই চা-বাগানে এক মর্মান্তিক ও পাশবিক ঘটনার শিকার হয়েছে দশ বছরের এক শিশু কন্যা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে একাকী থাকা শিশুটিকে পাশবিকভাবে আক্রমণ করে গ্রেফতার হয়েছে কেওট পদবীর ২৩ বছর বয়সী যুবককে। বর্তমানে শিশুটি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় পালই চা-বাগানের এক বাড়িতে। জানা গেছে, শিশুকন্যাটি মাতৃহারা এবং তার বাবা প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। এ সুযোগে একাকী শিশুটিকে লক্ষ্য করে যুবক। সে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার বাহানা করে শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে। একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে পাষণ্ড যুবক শিশুটির উপর পাশবিকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
অসহ্য যন্ত্রণা ও আতঙ্কে শিশুটি চিৎকার করলে পাশের ঘরের এক মহিলা সে আওয়াজ শুনতে পান এবং ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। মহিলাকে দেখে পলায়নের চেষ্টা করে। তবে মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পাষণ্ড যুবকটিকে পাকড়াও করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ধলাই থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুটিকে প্রথমে ধলাই প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় দ্রুত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে শিশুটির গোপনাঙ্গ, মারাত্মক জখম হওয়ায় তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে এবং ক্রিটিকাল কেয়ারে রয়েছে। এই ন্যাকারজনক ঘটনায় পালই চা-বাগানসহ গোটা ধলাই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সকল মহল থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তার বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।
ধলাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করে জানান, অভিযুক্ত আশারাম কেওটকে গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো কঠোর আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।