বাজারিছড়া জিপির সভাপতি ডলিরানি, সহসভাপতি অর্পিতা

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ জুন : কার্যত প্রক্রিয়া এক নজিরবিহীন গণতান্ত্রিক সাক্ষী থাকল শ্রীভূমি জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের লোয়াইরপোয়া ব্লকের অন্তর্গত বাজারিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। বৃহস্পতিবার লোয়াইরপোয়া ব্লকের অন্তর্গত বাজারিছড়া জিপিতে গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ ঘোষিত পূর্ব নির্ধারিত কার্যসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো পরিচালন কমিটি গঠনের প্রথম ধাপের ভোটাভুটি। এতে ডলিরানি নন্দী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জিপির নতুন সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়ায় এবার বিশেষ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। কারণ, সভানেত্রী পদে ছিল দু’জন প্রার্থী— দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যা ডলিরানি নন্দী এবং এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যা যুথিকা পাল। দু’জনেই অভিজ্ঞ ও জনমুখী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। ফলে লড়াইটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয়।

চূড়ান্ত পর্যায়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ডলিরানি নন্দী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যুথিকা পালকে ৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি জিপির নেতৃত্বে এলেন এক গণতান্ত্রিক রায় ও জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে।

অপরদিকে, সহ-সভানেত্রী পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যা অর্পিতা দাস সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর মনোনয়ন সমর্থন করেন উপস্থিত সকল পঞ্চায়েত সদস্য।

এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিক রংবমন তেরং (বিডিও, লোয়াইরপোয়া) এবং পাথারকান্দি সোমো জেলা অতিরিক্ত কমিশনার যুগান্তর কানোয়ার সহ অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। বিজয়ী প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয় অনুষ্ঠানিকভাবে এবং পরে সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের অভিনন্দন জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাজারিছড়া জিপিতে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। ডলিরানি নন্দী ও অর্পিতা দাস—দুজনেই মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যামে নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

নতুন নেতৃত্বের কাছে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, তারা যেনো উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে যথাযথভাবে রূপায়ণ করে এবং সাধারণ মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে জিপিকে সত্যিকার অর্থে এক কার্যকর ও গণমুখী প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন।