নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে দেহ পোঁতার চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের
১৮ জুন : প্রতিবেশী নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমাণ লোপাট করতে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসীরাই হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তারপর তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গণপিটুনিতে পরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত যুবকের। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে পাত্রসায়ের থানা এলাকার একটি গ্রামে বছর দশেকের ওই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবককে গ্রামের রাস্তায় যেতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর থেকে ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যার মুখে প্রতিবেশীদের কাছ থেকেই জেনে ওই যুবককে চেপে ধরেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। সন্দেহ হওয়ায় ওই যুবককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবক সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি ছিল। কিন্তু চাপের মুখে তিনি স্বীকার করেন, ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যুবকের দেখানো জায়গায় যান গ্রামবাসীরা। দেখেন, সেখানে একটি গর্তও খোড়া রয়েছে। একটি কোদালও দেখতে পান তাঁরা। অদূরেই পড়েছিল নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত ওই যুবকের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করেন।
খবর পেয়ে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। গ্রামে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন বিশাল বাহিনী।
ময়নাতদন্তের জন্য নাবালিকা ও অভিযুক্ত যুবকের দেহ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নাবালিকার পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
খবর : tv9 Bangla.
