পাইলটের শেষ কল : ‘আমরা বাঁচব না’

১৪ জুন : আহমেদাবাদের বিমান ন্যা দুর্ঘটনা দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে ২৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বিমানের যাত্রী এবং মেডিকেল কলেজের ভবনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও ডাক্তাররা রয়েছেন।

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার আগে ATC-কে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট সুমিত সাভারওয়াল। সামনে এসেছে এটিসি’কে পাঠানো তাঁর শেষ বার্তাটি। ৪-৫ সেকেন্ডের বার্তায় সুমিত বলছেন, ‘মে ডে, মে ডে, মে ডে… থার্স্ট পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়ার কমে যাচ্ছে, বিমান উপরে উঠছে না। আমরা বাঁচব না।’

দুর্ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসছে। পাইলট সুমিত সাবারওয়াল কর্তৃক এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে পাঠানো শেষ বার্তাটি প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র ৪-৫ সেকেন্ডের এই বার্তায় পাইলট জানিয়েছেন যে বিমানটি পাওয়ার পাচ্ছে না, এবং তিনি সতর্ক করেছেন, “প্লেন উঠছে না… বাঁচব না।” এই বার্তাটি প্রমাণ করেছে যে দুর্ঘটনাটি একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে, যা এক মুহূর্তে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।

বিমানের ধ্বংসাবশেষ বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ভবনের ওপর পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ভবনে ৬০ জনের বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ৩৪ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। কিছু লোক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এই ফ্লাইটে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ১২ জন ক্রু সদস্য অন্তর্ভুক্ত। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাত্র একজন যাত্রী বেঁচে আছেন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৫ হয়েছে (বিমানের ২৪১ জন যাত্রী এবং মেডিক্যাল হোস্টেলের ৩৪ জন)। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

এখন পর্যন্ত ২২০ জনের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে, এবং ৭টি মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার তদন্তকারী দল ব্ল্যাকবক্স, সিডিআর উদ্ধার করেছে। সেখান থেকেই সামনে আসতে পারে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।

পাইলটের শেষ কল : 'আমরা বাঁচব না'

Author

Spread the News