তিরোধান দিবসে সেন্ট্রাল রোডের লোকনাথ বাড়িতে দিনভর নানা কর্মসূচি
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩ জুন : প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শিলচর সেন্ট্রাল রোড থাকা লোকনাথ বাড়িতে দিনব্যাপী সনাতন ধর্মীয় নীতি ও নিয়ম মেনে ত্রিকালজ্ঞ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়। এদিন প্রথমে সকাল থেকে সকাল আটটায় গীতা পাঠ, ১১টা ৪৫ মিনিটে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মহাপ্রয়াণের এক মিনিট নীরবতা পালন, দুপুর ১২ টায় লোকনাথ বাবার পাদুকা পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি, বিকেল চারটায় থেকে যজ্ঞানুষ্ঠান, বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে সন্ধ্যা আরতি, সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ৯ টা ৩০ মিনিট অবধি স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে খাতা-কলম ও বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর বিতরণ সহ উপস্থিত ভক্তবৃন্দদের মধ্যে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০টা অবধি মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।

লোকনাথ বাড়ির প্রধান পূজারী পবিত্র পাল বলেন, বাবা লোকনাথ একজন সিদ্ধ পুরুষ। তিনি মানব কল্যাণে অসংখ্য অমৃতবাণী দিয়ে গেছেন, যা অনুসরণ করলে মানব জাতি শান্তি ও স্বস্তি পাবে, মুক্তির পথ খুলে যাবে বলেই বিশ্বাস করা হয়। লোকনাথের আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে অনেক প্রচলিত কথা ও বিশ্বাস আছে। মনে করা হয় সব বিপদেই তাঁকে স্মরণ করলে রক্ষা করেন তিনি। জানুন তাঁর কিছু বাণী, যা যে কোনও বিপদে স্মরণ করলে সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে বলেই বিশ্বাস করা হয়। তবে তিনি স্থূল দেহ ত্যাগ করলেও আজও তিনি তার ভক্তদের রক্ষা করেন সূক্ষ্ম দেহে, তাইতো তিনি তার ভক্তদেরকে অভয়বাণী দিয়ে গিয়েছিলেন যাওয়ার আগে, “রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব।” এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিৎ দাস, রূপালী পাল, বাপ্পা দাস, অলক পাল, পঙ্কজ পাল, রাখী পাল, শান পাল, স্নেহা সাহা, শম্ভু পাল, জনি পাল, শিবম পাল প্রমুখ।
