লঙ্কার ২ নং রেলগেটের ওভারব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে এবিভিপির ধরনা-অবরোধ
পিএনসি, লঙ্কা।
বরাক তরঙ্গ, ২২ মে : লঙ্কা শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা লঙ্কা-নগাঁও রোড। এই নগাঁও রোডে রয়েছে শহরের ২ নং রেলগেট। এই রেলগেটে একটি ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কাজ চলছে যা আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়ে ওঠেনি। উল্লেখযোগ্য যে, অসমের তদানীন্তন পূর্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ব্রিজ নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করে ছিলেন। নির্মাণ কাজ শুরু হবার পর থেকে যদিও ছোট যানবাহন গুলো চলাচল করার একটি সুবিধা ছিল। কিন্তু আজ প্রায় দু’মাস যাবত কাজের সুবিধার জন্য সম্পূর্ণরূপে রেলগেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এই গেটের উভয় দিকের স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূরের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিত্যদিনের পথ চলা পথচারী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে, চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের যমের যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। লঙ্কা শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও কোন নেতাকর্মীরাই এই রেল গেটের ওভার ব্রিজ সম্পূর্ণ করে তোলার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের লঙ্কা শাখার ব্যবস্থাপনায় ২ নং রেলগেটের ওভারব্রিজ দ্রুত নির্মাণের দাবিতে লামডিং রোডের ১ নং রেলগেট ফ্লাইওভার অবরোধ ও ধরনা কার্যসূচি গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার দেখা গেল লঙ্কার সচেতন নাগরিকরা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আহব্বানে সাড়া দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে অটোচালক, টোটো চালক তথা বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা পথ অবরোধ কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১১ টা থেকে শুরু করে দুপুর ১. ৩০ টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিবাদকারীরা একত্রে মিলিত হয়ে ১ নং রেলগেটের ফ্লাইওভারের মধ্যস্থলে পথ অবরোধ কার্যসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকের হাতে প্লেগার্ড, ব্যানার ইত্যাদি নিয়ে কন্টাকটার গো ব্যাক, কন্টাকটার হায় হায়, এবিভিপি জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলেন।

অন্যদিকে, পথ অবরোধের ফলে সারা লঙ্কা শহর অচল হয়ে পড়ে। ব্রিজের দুইদিকে শতশত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে অ্যাম্বুলেন্স, বিকলাঙ্গদের গাড়ি ইত্যাদি চলাচল করতে দেওয়া হয়। এই অচল অবস্থার মধ্যে লামডিং সমজেলার প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে হোজাই জেলা সদর শঙ্করদেব নগরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান, কিন্তু সকলেরই প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে গেলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মাধ্যমে হোজাইর জেলা আয়ুক্ত বিদ্যুৎ বিকাশ ভাগবতীর টেলিফোন বার্তায় ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ছাত্র নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সমস্যার উপরে একটি স্মারকলিপি উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।