৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর সালমান-ট্রাম্পের

১৪ মে : মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক কূটনীতি ও বিশ্বরাজনীতিতে এক নতুন মাইলফলক গড়েছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। মঙ্গলবার সৌদি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরাম’-এ এই ঘোষণা দেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে নতুন গতির সূচনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও মজবুত করা হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

সৌদি যুবরাজ তাঁর বক্তব্যে জানান, “আমরা বর্তমানে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছি এবং শীঘ্রই এটি ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করি।” তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এ যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি হলো যৌথ বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের নতুন শিল্প খাতগুলোতে অংশগ্রহণ। বর্তমানে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের বৈশ্বিক বিনিয়োগের ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে। যুবরাজের ভাষায়, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতির নয়, বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সউদী আরবের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “সৌদির অ-তেল খাতের আয় এখন তেলখাতকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির ইঙ্গিত। এটি রাজা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফসল।” ট্রাম্প যুবরাজকে “অসাধারণ নেতা” এবং “নিজ দেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের হুথি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন এবং বলেন, “এটি ছিল মারাত্মক ভুল।” ইরানকে আঞ্চলিক অস্থিরতার মূল উৎস বলেও মন্তব্য করেন তিনি। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, গাজা ও ইয়েমেনে ইরানের কর্মকাণ্ডকে ‘দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং বলেন, “ইরান তার কৃষিজমিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে, আর আমরা মরুভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর করছি।”
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।

৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর সালমান-ট্রাম্পের
৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর সালমান-ট্রাম্পের
Spread the News
error: Content is protected !!