পূবালীর শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের সম্মান পেলেন সাংবাদিক শতানন্দ
বরাক তরঙ্গ, ১০ এপ্রিল : বরাক উপত্যকার অন্যতম প্রাচীন নাট্যসংস্থা, শিলচরের ‘পূবালী’-র ৫৩তম বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনু নাটকের পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নাট্যকার নির্বাচিত হয়েছেন শতানন্দ ভট্টাচার্য। তাঁর রচিত নাটক “অন্তিম যাত্রা” প্রথম স্থান অধিকার করে।
প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের পুরস্কার শতানন্দ ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিলচরে পূবালীর নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি, একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রাহুল দাশগুপ্ত।
মঙ্গলবার, পূবালীর কার্যালয়ে প্রয়াত জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য ও প্রয়াত কল্যাণী ভট্টাচার্য স্মৃতিমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় “নাটকের সংযোগ: স্রষ্টার অবস্থান” শীর্ষক এক মননশীল আলোচনা সভা।
আলোচনায় মুখ্য বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ডঃ তীর্থঙ্কর চন্দ। তিনি নাটকের আন্তর্জাতিক ধারা থেকে শুরু করে স্থানীয় নাট্যপ্রয়াস পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেন। তাঁর মতে, নাটকে একটি গভীর বার্তা থাকা জরুরি। নাটকের প্রতিটি স্তরে উত্থান-পতন এবং সংলাপে আবেগের প্রকাশ না থাকলে, দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “নাটক দর্শকের মনে প্রশ্ন তুলবে, ভাবনার সৃষ্টি করবে—এই তো নাটকের আসল সার্থকতা।”

তিনি বিশ্বখ্যাত কিছু নাটকের উদাহরণ টেনে বিশ্লেষণ করেন নাট্যভাষার গভীরতা এবং সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা। আলোচনার শেষ পর্যায়ে উপস্থিত নাট্যপ্রেমীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন ও মতামত দেন, যার ফলে আলোচনা আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পূবালীর সভাপতি সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দীপঙ্কর চন্দ। অনুষ্ঠানের সূচনা ও সমাপ্তিতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ড. মৌমিতা নাথ। গোটা অনুষ্ঠানটির সুচারু সঞ্চালনা করেন শান্তনু সেনগুপ্ত।