ধলাইয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত ঈদ-উল ফিতর

ধলাইয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত ঈদ-উল ফিতর

রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ মার্চ : ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হল পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের এই বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ঈদ উপলক্ষে ধলাইয়ের বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দান আগে থেকেই সুসজ্জিত করা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসনও ছিল তৎপর। পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে জেলা সদরসহ সকল থানা এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঈদের একদিন আগে পুলিশ রোডমার্চ করে। ঈদের দিনও পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।

সোমবার সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে ধলাইর সব ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ধলাইয়ে প্রধান দুটি ঈদগাহ, বাম ঈদগাহ ময়দান ভাগাবাজার এবং বাম ঈদগাহ ময়দান রাজঘাটে সকাল সাড়ে আটটায় জামাতের সময় নির্ধারিত ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই ঈদগাহে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।

ভাগাবাজার বাম ঈদগাহ ময়দানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ঈদগাহ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এবং দেরিতে আসা হাজারের অধিক মুসল্লিকে ঈদগাহের বাইরে নামাজ আদায় করতে হয়। একই চিত্র দেখা যায় বাম ঈদগাহ ময়দান রাজঘাটেও। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুটি ঈদগাহের প্রতিটিতে অন্তত আট থেকে দশ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

ধলাইয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত ঈদ-উল ফিতর

ভাগাবাজার বাম ঈদগাহ ময়দানে আনোয়ার হুসেন এবং রাজঘাট ঈদগাহ ময়দানে মওলানা ফখরুল ইসলাম লস্কর ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। নামাজ শেষে সকল ঈদগাহেই বিশ্ব শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে ফিলিস্তিন, গৃহযুদ্ধ ও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমার এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য মনিপুরের শান্তি কামনা করার পাশাপাশি বিশ্বের যেখানেই অশান্তি বিরাজ করছে, সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই দৃশ্য ভাতৃত্ববোধের এক সুন্দর প্রতিফলন ঘটায়।

ঈদের দিন ধলাইয়ের সকল ঈদগাহ ময়দান সহ থানা এলাকায় পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাম ঈদগাহ ভাগাবাজার ও বাম ঈদগাহ রাজঘাট ছাড়াও ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঈদগাহ ময়দান যেমন সপ্তগ্রাম ঈদগাহ ময়দান (যেখানে নামাজ পাঠ করান মওলানা ইসমাইল আল কাসিমি), রাজঘাট চান্নীঘাট ঈদগাহ ময়দান (মওলানা আমির হুসেন), রাজনগর ঈদগাহ ময়দান (আবুল কালাম বড়ভূইয়া) এবং জামালপুর ঈদগাহ ময়দান (হবিবুর রহমান লস্কর) এসব ঈদগাহেই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

Author

Spread the News