সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

বরাক তরঙ্গ, ২৯ মার্চ : কাছাড় জেলা সৈনিক কল্যাণ কার্যালয় এবং আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিস, শিলচরের সহযোগিতায় উধারবন্দজগন্নাথ সিং কলেজে ২৭ মার্চ রাজ্যপালের ‘রাষ্ট্রীয় কৃতজ্ঞতা ও জাগরুকতা যোজনা’ অন্তর্গত একটি বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে। কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় নিরাপত্তায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করা এবং প্রতিরক্ষা বিভাগে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য অনুপ্রাণিত করা।

এই কর্মসূচির প্রধান অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিশ্বজিৎ সিনহা (অব.), যিনি জাতীয় নিরাপত্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং যুবসমাজ গঠনে নিয়মানুবর্তিতা গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাত্রা একটি শক্তিশালী ও উন্নত জাতির ভিত্তি এবং ছাত্রছাত্রীদের শৃঙ্খলিত জীবনধারা অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিস, শিলচরের সেনা কর্মকর্তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। তারা যোগ্যতার মানদণ্ড, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং প্রতিরক্ষা খাতে উপলব্ধ বিভিন্ন ক্যারিয়ারের সুযোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন, যা শিক্ষার্থীদের জাতীয় সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে অনুপ্রাণিত করে।

সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

এদিনের অনুষ্ঠান পৌরোহিত্য করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. এস সমরেন্দ্র সিংহ। পুরো পরিচালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার ড. শ্যাম মামুদ বড়ভূইয়া। এছাড়াও ইতিহাস বিভাগের প্রধান এবং সহকারী অধ্যাপক ড. গঙ্গেশ ভট্টাচার্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. স্বপন দাস, মনিপুরী বিভাগের প্রধান এবং সহকারী অধ্যাপক অনিতা সিংহ,  অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং আইকিউএসি কোঅর্ডিনেটর ড. মিনহাজ উদ্দিন বড়ভূইয়া,  হিন্দি বিভাগের সরকারি অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার চতুর্বেদী এবং দিলীপ কুমার ঠাকুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

এই সচেতনতামূলক কর্মসূচিটি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তারা বক্তাদের সাথে সক্রিয়ভাবে মতবিনিময় করেন এবং সামরিক সেবার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

এ ধরনের উদ্যোগ দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এবং তরুণ প্রজন্মকে জাতীয় নিরাপত্তায় অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষকরা অতিথি বক্তাদের এবং আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিসকে তাদের মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরও এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সহায়ক হবে।

Author

Spread the News