সীমান্ত শহরের ভবিঘুরদের শীতবস্ত্র বিতরণ খুশি স্মৃতি সংস্থার
বরাক তরঙ্গ, ২৪ জানুয়ারি : সেবা ও শিল্প সংস্কৃতির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে গঠিত হয় খুশি স্মৃতি সংস্থা। ২০ জানুয়ারি প্রায়ত খুশিরানি রায়ের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রথমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে মানব সেবার উদ্যেশে শ্রীভূমি শহরের ভবঘুরেদের জন্য শীতবস্ত্র ও জলখাবার তুলে দিলো খুশি স্মৃতি সংস্থার সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে উপদেষ্টা সুলেখা দত্ত চৌধুরী বলেন, বিয়ের পর থেকে খুশিকে কাছে থেকে দেখেছি আজ নয় বছর হয়ে গেছে মৃত্যুর কিন্তু সে যেন আজও আমাদের মধ্যে বিরাজমান। তাকে স্মরণ করে রাখতে গঠিত হয় “খুশি স্মৃতি সংস্থা”। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ সেবা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া। বিগত নয় বছর থেকে নীরবে সেবা মূলক কাজ চালিয়ে চাচ্ছে।
উপদেষ্টা সৌমিত্র পাল বলেন ‘খুশি স্মৃতি সংস্থা”র প্রতিটি কাজে প্রাণের ছুয়া থাকে। বিগত বছর গুলিতে নানা সেবা মূলক কাজের সঙ্গে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানিয়ে আসছে। খুশিরানির মৃত্যুদিবসে দিন সন্ধ্যা রাতে সংস্থার সদস্যরা এক যোগে গোটা শহরের নানা স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভবঘুরেদের শীতবস্ত্র সহ খাদ্য দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। এই প্রথম এধরনের সেবা কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পারায় সত্যিই খুব ভালো লাগছে। সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা বিগত দিনের মত আগামি দিনেও নিজেদের সাধ্যমত সেবা মূলক কাজ চালিয়ে যাব। শিল্প সংস্কৃতি ছাড়া বৃক্ষ ,গরীব বিদ্যার্থীদের সহায়তা সহ অন্যান্য কার্যসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থা।
সাংবাদিক বিভাস দাস বলেন, প্রায়ত খুশিরানি রায় একজন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা ছিলেন বিয়ের ১১ মাসের মধ্যে একটি পুত্র সন্তান রেখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ২০১৬ জানুয়ারি মাসে । ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সেবা মূলক এবং মহিলাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা কে সামনে রেখে গঠন করা হয় “খুশি স্মৃতি সংস্থা”। ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন নেহেরু যুব কেন্দ্র থেকে পঞ্জিকরণ সহ সীমান্ত শহরে প্রথমবারের মতো পিঠা মেলার আয়োজন করে। পরবর্তীতে একের পর এক সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
এদিন সন্ধ্যায় প্রথমে প্রথমে প্রায়ত খুশিরানি রায়ের প্রতিকৃতিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান খুশি স্মৃতি সংস্থার উপদেষ্টা সুলেখা দত্ত চৌধুরী, প্রদীপ প্রজ্বলনের সূচনা করেন উপদেষ্টা সৌমিত্র পাল।শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপশি ভবঘুরেদের শীতবস্ত্র তুলে দিতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মৃণাল সরকার, বিভাস চন্দ্র দাস, এসএম জাহির আব্বাস, সুমিত্রা দাস, অলোকা দেব স্বামী, উমা পাল, সোনালী গোস্বামী সুমিতা রায় মৌসুমী মালাকার, মঞ্জুরি চক্রবর্তী, মৌসুমী দাস বণিক, ড. দীপঙ্কর দাস, শুভঙ্কর মালাকার, সুস্মিতা দাস, বিজয়া দাস, পায়েল বণিক, ইকবাল খান, উত্তম শুক্ল, মৃত্তিকা সরকার, রাজশ্রী চক্রবর্তী, ভাগ্যশ্রী চক্রবর্তী। অনুরূপ ভাবে কর্ণমধু সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনের প্রাঙ্গণে কয়েকজনের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন শিলচর এন আই টির রেজিস্ট্রার্ড তথা বিদ্যাভারতির বরাক বিভাগের সভাপতি নিহারেন্দু দে, শিক্ষাবিদ ড. গীতা সাহা, সুবীর বরণ রায়, সঙ্গীত রায়, সুচিস্মিতা চক্রবর্তী, জয়দীপা দাস প্রমুখ।