হাইলাকান্দিতে বিপর্যয় মোকাবিলার মক ড্রিল অনুষ্ঠিত

জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ ১৮ জানুয়ারি : বিপর্যয়ের সময় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা  সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চালাতে হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার হাইলাকান্দিতে এক মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টায় জনসংযোগ বিভাগের মাইকে সাইরেন বাজিয়ে বিপর্যয় এর দৃশ্যপট তৈরি করা হয়। ১১টা ১৭ মিনিট নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলার পদ্ধতি ইন্সিডেন্ট রেসপ্নস সিস্টেম কার্যকরা হয়। শুরু হয় বিভিন্ন বিভাগের তৎপরতা। দৃশ্যপটে দেখা যায়  আলগাপুরের আব্দুল লতিফ কলেজের ভবন ভেঙ্গে ‘আহত’ হয়েছেন এবং পাশেই অবস্থিত মইনুল হক চৌধুরীর সাইন্স কলেজের ভবনে ‘অগ্নিকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছে। মহড়ায় বোয়ালিপারের ডক্টর শশীভূষণ ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনের প্রাঙ্গনস্থলে স্টেজিং এরিয়া অর্থাৎ ত্রাণ তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে ব্যবহার করা হয়। 

লক্ষীরবন্দ এলপি স্কুলে রিলিফ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে উদ্ধার করা আহতদের চিকিৎসা করা হয়। দুই ঘন্টার এই মহড়ায় জেলা আয়ুক্তের সভাকক্ষে ডিস্ট্রিক্ট ইমারজেন্সি সেন্টার স্থাপন করে রেসপন্স সেকশন, প্ল্যানিং সেকশন, অপারেশন সেকশন থেকে সিস্টেম চালানো হয়। মহড়ায় রেসপনসিবল অফিসার হিসেবে কাজ করেন ডিডিসি এল্ডাড ফাইরিম। ইন্সিডেন্ট কমান্ডার  এডিসি  লালরহলু খেনতে এবং অপারেশন সেকশন চিফ হিসেবে ডিএসসি হরিচরন ভূমিজি কাজ করেন। ডেপুটি  ইন্সিডেন্ট কমান্ডার হিসেবে নাইসরিং লাইডিঙ দায়িত্ব  নির্বাহ করেন। মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে সাজ্জাদুল হক চৌধুরী এবং লিয়াজো অফিসার হিসেবে মোহাম্মদ আহমদ দায়িত্ব পালন করেন। এই ড্রিলে বিপর্যয়ের ফলে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে ধরে নিয়ে ওয়াকিটকির মাধ্যমে সবাই যোগাযোগ কাজ সম্পন্ন করেন। সমগ্র এক্সারসাইজটি পর্যবেক্ষণ করেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা কর্তৃপক্ষের কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ দত্ত। বিকেলে টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয় ডিবিফ্রিঙ নামক অনুষ্ঠান। এতে সমগ্র এক্সারসাইজের ময়নাতদন্ত করা হয়।. এরপর।

দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারী সবাইকে প্রশংসাপত্র তুলে দেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ দত্ত। উল্লেখ্য এর আগে গতকাল সারাদিনব্যাপী ইনসিডেন্ট রেসপন্স সিস্টেমের উপর বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা আয়োজন করা হয় হাইলাকান্দি শহরের টাউন হলে ‌ হাইলাকান্দিতে।

Author

Spread the News