সোনাবাড়িঘাটে বামনেতা শিক্ষক দুর্গেশ দে পুরকায়স্থের স্মরণসভা

হলি লাইফ স্কুল পাকাকরণের প্রথম পদক্ষেপ ছিল দুর্গেশবাবুর

বরাক তরঙ্গ, ৯ জানুয়ারি : সোনাবাড়িঘাটের মালিকহীন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম হলি লাইফ স্কুলটি পাকাকরণের প্রথম পদক্ষেপ ছিল প্রয়াত দুর্গেশরঞ্জন দে পুরকায়স্থের। হেলিয়ে পড়া বাঁশ বেতের ওই স্কুলটি প্রথম ইটের দেওয়াল বসে তাঁরই উদ্যোগে। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ আরও মজবুত পুরকায়স্থের আমলে। বৃহস্পতিবার স্কুলে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথাগুলো উঠে আসে। কাছাড় হাইস্কুল থেকে অবসর নেওয়ার পর ময়ীনুল হক চৌধুরী হায়ার সেকেন্ডারির তৎকালীন শিক্ষক তথা হলি লাইফ স্কুলের সম্পাদক আইনুল হক মজুমদারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্কুলে যোগ দিয়ে প্রায় ষোল বছর অধ্যক্ষ ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আরও পাঁচ বছর সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান। শিক্ষকতা এতই নিখুঁত ছিল গ্রামবাসী কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাননি। সামান্য পারিতোষিকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেলেন দুর্গেশবাবু।

স্কুলের সভাপতি মহি উদ্দিন চৌধুরীর (জনি) সভাপতিত্বে স্মরণসভায় শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে স্মৃতিচারণ করেন ময়ীনুল হক চৌধুরী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা হলি লাইফের বর্তমান অধ্যক্ষ মস্তর আলি লস্কর। স্মরণসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়ীনুল হক চৌধুরী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তথা হলি লাইফের প্রাক্তন সম্পাদক আইনুল হক মজুমদার। তিনি বক্তব্যে প্রয়াত দুর্গেশরঞ্জন দে পুরকায়স্থের সংগ্রামী জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তাঁর আমলে স্কুলের উন্নতির বিষয়ের কথাগুলে স্মরণ করেন। বলেন, দুর্গেশবাবু ভেঙে পড়া স্কুলটির পাকাকরণের উদ্যোগ নেন। স্কুল ও এলাকার স্বার্থে তিনি তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থের কাছে যান। কবীন্দ্র পুরকায়স্থের দেওয়া ২ লক্ষ অনুদানে পাকাকরণের প্রথম কাজ শুরু করেন। মজুমদার বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে পাঠদান করেছেন। এ ছাড়া সুযোগে দলের কাজ চালিয়ে গেছেন দুর্গেশবাবু।

সোনাবাড়িঘাটে বামনেতা শিক্ষক দুর্গেশ দে পুরকায়স্থের স্মরণসভা

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাগরিক মজনুল হক মজুমদার, শিক্ষক সফিক উদ্দিন আহমেদ, সমাজকর্মী হাসানজামান লস্কর, সাংবাদিক আশু চৌধুরী, শিক্ষক সাজাম লস্কর, নুরুল ইসলাম লস্কর, প্রাক্তন ছাত্র সুয়েজ আক্তার মজুমদার, স্কুলের শিক্ষিকা সুপর্ণাচন্দা সেন প্রমুখ। সবাই প্রয়াত দুর্গেশরঞ্জন দে পুরকায়স্থের অবদান ও সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরেন। মঞ্চে ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক আজিম উদ্দিন মজুমদার। এ ছাড়াও স্মরণসভায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

Author

Spread the News