একোমোডেটেড টিউটর সংস্থার সভা শ্রীভূমিতে
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৫ জানুয়ারি : শ্রীভূমি জেলা পেনশনার্স ভবনে জেলা একোমোডেটেড টিউটর সংস্থার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সভাপতি আব্দুল হামিদের পৌরহিত্য সভায় কোষাধ্যক্ষ রাহুল রায় উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। সংস্থার সভাপতি আব্দুল হামিদ সভায় বলেন, সারা আসাম টিউটরদের যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে সম্প্রতি গুয়াহাটি লাস্ট গেটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার টিউটর সেখানে উপস্থিতি হয়ে টিউটরদের বেতন বৃদ্ধি, শিক্ষকের মর্যাদা লাভ ইত্যাদি সহ কর্মচারীদের অনেকগুলো ন্যায়িক দাবির আওয়াজ তুলে আকাশ বাতাস মুখরিত করে বিশেষ ধর্ণা কর্মসূচি পালন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন। এতে টিউটরদের ওই ধরনা কার্যসূচি চলাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী রণেজপেগু উপস্থিত হয়ে লাস্ট গেটের ধরনায় উপস্থিত সকলকে বুঝিয়ে-সুুঝিয়ে বেতন বৃদ্ধি সহ টিউটরদের সমস্যার নিরসনের ব্যাপারে সংস্থার প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আগামী ১২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটা ইতিবাচক ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ঐ দিনের ধরনা বাতিল করান বলে সভাপতি আব্দুল হামিদ জানান। তাছাড়া তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী আগামীতে যেকোন টিউটর কিংবা শিক্ষককে কন্ট্রাকচুয়াল হিসাবে রাখা যাবে না বরং সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে সবাইকে শিক্ষকের মর্যাদা সহ বেতন বৃদ্ধি করা সরকারের দায়বধ্যতা বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই বিশেষ করে একমোডেটেড টিউটররা যখন প্রথমে চাকরিপ্রাপ্ত হন তখন বেশিরভাগ সবাই মেট্রিক পাশ ছিলেন এবং ট্রেনিং প্রাপ্ত ছিলেন না। তাই এমনিতেই একোমোডেটেড টিউটরদের সংখ্যা কম ও বেশিরভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতায় তেমন উচ্চ নয় এবং চাকরির মেয়াদও বেশি নয় বলে বিশেষ করে জন্মের তারিখ, জয়েনিং লেটার, শিক্ষা সেতুর উপস্থিতির অ্যাপের কোড নম্বর ইত্যাদি চাওয়া হয়েছে বিভাগ তথা শিক্ষামন্ত্রীর তরফ থেকে এবং তা সংস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ করে দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে বয়স দেখে শিক্ষাবিভাগ হয়তো ট্রেনিংয়ের একটা ব্যবস্থা করে পরবর্তীতে সবাইকে শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পারে বলে সংস্থার জেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ মত প্রকাশ করেন। তাই যে বা যারা আজকের সভায় ডকুমেন্ট এনে দেননি তারা দু-তিন দিনের মধ্যে সংস্থার কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি বিশেষ অনুরোধ রাখেন। অন্যতায় সংস্থার কর্মকর্তাদেরকে কেউ পরবর্তীতে দোষারোপ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে তিনি জানান। পাশাপাশি একোমোডেটেড টিউটরদের বেলায় সরকার যদি মোটামুটি ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে পরবর্তীতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনশন ধর্মঘট করতে প্রস্তুত থাকতে তিনি আহ্বান জানান। শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টদের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক নজমুল হোসেন চৌধুরী, শিক্ষক আব্দুল জলিল, সংস্থার সহ -সম্পাদক হুবাইর আহমদ, কোষাধ্যক্ষ রাহুল রায়, উপ-সভাপতি আশিস নাগ, সাউথ ব্লকের সম্পাদক সঞ্জীব রায়, টিউটর আতিকুর রহমান চৌধুরী, রামেন্দ্র মালাকার, লুৎফুর রহমান চৌধুরী, চিত্তরঞ্জন দাস, অপর্ণা পাল, গীতা দাস, কবির আহমেদ চৌধুরী, আলম চৌধুরী, এমাদ উদ্দিন, সুপর্ণা পাল সহ প্রচুর টিউটরগন উপস্থিত ছিলেন।