কৈবর্ত সমাজের সার্বিক উন্নয়নই লক্ষ্য কৈবর্ত ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২ জানুয়ারি : বরাক উপত্যকার পিছিয়ে পড়া কৈবর্ত সমাজের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নতির উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে কৈবর্ত ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সৃষ্টি করলেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সভায় বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের সভাপতি সজল কান্তি দাস বলেন,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমান দিন অবধি সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বিরাট অবদান রয়েছে কৈবর্ত সমাজের, তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান দিনে কৈবর্ত সমাজকে নিয়ে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছিনিমিনি খেলতে দেখা যাচ্ছে কিছু -কিছু অসাধু নেতারা। কিন্তু সেই নেতারা কৈবর্ত সমাজের অন্তর্ভুক্ত কয়জন ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষাগ্ৰহনের ক্ষেত্রে সাহয্য করেছেন? এইসব প্রশ্ন তুলেছেন সজল বাবু।
অন্যদিকে আগামী দিনে উনারা কৈবর্ত সমাজের ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে উন্নতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে আগামী দিনে বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার খোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, শিক্ষার আলোই সমাজের উন্নতি ঘটাবে। সাধারন সম্পাদক গোপাল দাস বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাক উপত্যকার রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রাক্তন বিধায়ক -রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাংসদ প্রয়াত নেপাল চন্দ্র দাস,প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত সুদর্শন দাস,প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত রথীশ চৌধুরী প্রাক্তন বিধায়ক শিশির দাস, কৈবর্ত সমাজের অন্তর্ভুক্ত নেতা থাকা অবস্থায় যেভাবে কৈবর্ত সমাজের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছিল। আজকের দিনে কৈবর্ত সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন ধলাই বিধায়ক নীহার ঞ্জন দাস।
সাংবাদিকতার দিকে প্রয়াত বিমল দাসেরা কৈবর্ত সমাজের ছেলে -মেয়েদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য নিরলস চেষ্টা করেছেন, কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কৈবর্ত সমাজকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থের উন্নতির জন্য কিছু সংখ্যক লোক যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে তা কৈবর্ত সমাজের ক্ষেত্রে অসনি সঙ্কেত হয়ে দাঁড়িয়েছে,এই সব চিন্তাধারা বন্ধের জন্য কৈবর্ত ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সৃষ্টি হয়েছে এবং সভাপতি সজলকান্তি দাস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মূখ্য দাবি হিসেবে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে কৈবর্ত সমাজের উন্নয়ন সহ বরাকভ্যালি কৈবর্ত সমাজ টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলর দাবি জোরালো দাবি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বরাক উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী কৌশিক রায়ের কাছে দাবি রাখেন। উপস্থিত ছিলেন দুই সহ-সভাপতি সাগর দাস ও বিজয় নাথ দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বারীন্দ্র কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক গোপাল দাস, কোষাধ্যক্ষ রাকেশ দাস সহ অন্যান্যরা।