সোনা নিয়ে কাটলিছড়া ফিরতেই বিজয় উল্লাস, গৌতম-সামসুদ্দিনকে নিয়েই শোভাযাত্রা
সোনা দিয়েই বর্ষবরণ কাটলিছড়া সাব ডিভিশন স্পোর্টস কমিটির
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ ডিসেম্বর : সোনা নিয়ে ঘরে ফিরতেই কাটলিছড়ায় বাঁধভাঙা উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। সোনাজয়ী গৌতম-সামসুদ্দিনকে নিয়েই বছরের শেষদিন এক প্রকার বর্ষবরণ হয়ে গেল। কাটলিছড়া সাব ডিভিশন স্পোর্টস কমিটি তাদেরকে নিয়ে কাটলিছড়ার প্রধান প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা করে এসে তাদেরকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে
কাটলিছড়াবাসী রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে তাদেরকে হাত উজাড় করে আশীর্বাদ দিলেন। কাটলিছড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেদের সাফল্যে হাইলাকান্দি জেলা প্রথমবারের মতো ত্রীড়া জগতে সোনা বিজয়ের ইতিহাস রচনা করলো। ৪৬তম অল আসাম আন্ত:জেলা অ্যাথলেটিক মিটে হাইলাকান্দি জেলা দলের হয়ে অংশ গ্রহণ করে ২টি সোনা, ২টি রোপা আর ১টি ব্রোঞ্জ পদক জিততে সক্ষম হয় খেলো ইন্ডিয়ার কাটলিছড়া সেন্টারে ছেলে মেয়েরা। এ উপলক্ষ্যে আজ সকালে সাব ডিভিশন স্পোর্টস এসোসিয়েশন, কাটলিছড়ার কর্মকর্তারা ওদেরকে কাটলিছড়া পৌছার পর বরণ করে প্রথমে উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জানায় এবং হুড খোলা গাড়িতে করে কাটলীছড়ার প্রধান প্রধান সড়ক পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা করা হয়। অবশ্য এর আগে জেলা সদরে জিলা ক্রীড়া সংস্হার পক্ষ থেকেও ওদেরকে সংবধনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, যে সাব ডিভিশন স্পোর্টস এসোসিয়েশন কাটলীছড়ার তত্বাবধানে বিগত দুই বছর ধরে কাটলিছড়া চালমার্স স্মৃতি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে খেলো ইন্ডিয়ার অভিযানের কোচিং সেন্টারের ১২ জন ছেলে মেয়ে এবার
৪৬তম অল আসাম আন্ত জেলা এথলেটিক মিটে হাইলাকান্দি জেলা দলের হয়ে অংশ নেয় যার মধ্যে গৌতম দাস ওয়াকিং রেসে এবং সামসুদ্দিন লস্কর ৮০০ মিটারে প্রথম স্হান অর্জন করে আর দেবোজোতি দাস ও বিশাল কৈরী ওয়াকিং রেসে যথাক্রমে সিলভার আর ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
অ্যাথলিটরা কাটলিছড়া পৌছার পর সাবডিভিশন স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস পাল, সম্পাদক বিপ্লব নাগ, ফুটবল সচিব শঙ্কু চন্দ, সহসচিব হাসিম উদ্দিন, ক্রিকেট সচিব অম্বিকা দত্ত, রেফারি সচিব গুলজার হোসেন, আম্পায়ার সচিব বিরুপাক্খ সেন সহ অন্যান্যরা সব ক্রীড়াবিদদের উত্তরীয় দিয়ে বরন করেন। সংস্হার পক্ষ থেকে যে চারজন পদক লাভ করেন তাদেরকে উপহার সহ নগদ ৫০০শত টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া যে চারজন পদক না পেলেও আগত নর্থ ইস্ট জোনে কোয়ালিফাই করেছেন তাদের হাতেও নগদ ৫০০শত টাকা করে তুলে দেওয়া হয়।
তাদের এই সাফল্যের বেজায় খুশী কাটলীছড়ার ক্রীড়া মহল, বিশেষ করে সেন্টারের কোচ রাজা দাসের ইতিবাচক প্রচেষ্টার ফসলই যে এই সাফল্য সেটা সবাই নিজ নিজ বক্তব্যে তুলে ধরেন। ক্রীড়া সংস্হার সভাপতি তাপস পাল জানান যে এই সাফল্যকে ধরে রাখতে এবং আগমীদিনে আরও প্রতিভাকে তুলে ধরতে আগামী বছর চালমার্স মাঠে বড়সড় একটা অ্যাথলেটিক মিটের আয়োজন করা হবে এবং এই সঙ্গে আগামীদিনে বিশেষ বিশেষ জায়গায় ছোট ছোট ইভেন্টের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রতিভার সন্ধান করা হবে যাতে আগামীতে জেলা থেকে আরও বেশী করে অ্যাথলিট বেরিয়ে আসেন।