পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা ১৫ হাজার তালিবান সেনা

২৬ ডিসেম্বর : প্রত্যাঘাত? আফগানিস্তানে ঢুকে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে ছিল পাকিস্তান। এবার কি তার বদলা নিতে চায় তালিবান? সূত্রের খবর, পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ১৫ হাজার তালিবান সেনা। যেকোনও মুহূর্তে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা চালাতে প্রস্তুত। একসময় যে পাকিস্তান ছিল তালিবানের বিশ্বস্ত বন্ধু, সেই পাকিস্তানই এখন ধীরেধীরে শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরা জানেন, পাকিস্তানের দেওয়া খাবার, অর্থ, রসদ, আশ্রয়ে একসময় পুষ্ট হয়েছে তালিবান। এরাই আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর একটু একটু করে ইসলামাবাদের চোখের বালি হয়ে উঠেছে।  অথচ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কিন্তু আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতায় ফেরাকে ‘আল্লার দোয়া’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

তাহলে তালিবান-পাকিস্তান সম্পর্ক এতটা বিগড়ে যাওয়ার কারণ কী? মনে করা হচ্ছে পাক-আফগান সীমান্তে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্তই এই সংঘাতের মূলে। প্রতিদিন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের জঙ্গিদের। আর ইসলামাবাদের কর্তাদের বদ্ধমূল ধারনা পাকিস্তানে তালিবান ঘরানার ইসলামী শাসন কায়েম করতে চাওয়া পাক তালিবানকে মদত যোগাচ্ছে কাবুল। তাই সম্প্রতি আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি নষ্ট করেছে পাকিস্তান বায়ু সেনা। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ৫ লক্ষ অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগান উদ্বাস্তুকে বিতাড়িত করেছে। ভিসা নীতিতেও কঠোর ভূমিকা নিয়েছে শেহবাজ শরিফ সরকার।

তবে এই হামলাকে মেনে নেয়নি তালিবান প্রশাসন। কাবুলে পাক দূতকে ডেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তাঁরা। তবে এও জানা গেছে, ১৫,০০০ তালিবান যোদ্ধা কাবুল, কান্দাহার ও হেরাট থেকে পাক সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছে। তারা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মির আলি সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। যার মোকাবিলা করা এখন পাক সরকারের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।

Author

Spread the News