বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠা হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সভা
বরাক তরঙ্গ, ৭ ডিসেম্বর : শিলচরের হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সংগঠনের আহ্বানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি শিহাবউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে পরিচালিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরী, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আবীদ রাজা মজুমদার, বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের অন্যতম কর্মকর্তা গৌতমপ্রসাদ দত্ত, প্রাক্তন শিক্ষক সুব্রতচন্দ্র নাথ, আইনজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মিলন উদ্দিন লস্কর, আফতাব উদ্দিন লস্কর সীমান্ত ভট্টাচার্য, সারিমুল হক বড়ভূইয়া, হিল্লোল ভট্টাচার্য, মশহুরুল বারী প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত যৌথ বিবৃতি তৈরি করে জনহিতার্থে ব্যপক প্রচারের জন্য সংবাদ মাধ্যম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি আগামী ৯ ডিসেম্বর জেলা আয়ুক্ত মারফত ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর কাছে স্মারকপত্র প্রদান করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুটনৈতিক সমাধান ত্বরান্বিত করার আবেদন জানানোরও সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে যৌথ বিবৃতি চলতি বছরের আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী গণ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে সেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর সে দেশে নোবেলজয়ী মোহাম্মদ ইউনিসকে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এতে অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পায়। আমাদের ধারণা এর সুযোগে পরিস্থিতি আরও জটিলতর হয়েছে। সম্প্রতি দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। এসব ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে বাংলাদেশে থেকে আগত চিকিৎসাপ্রার্থী সাধারণ নাগরিক সহ ছাত্রছাত্রীরা ব্যপক প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা বাংলাদেশে পাঠরত ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও কর্মরত সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা উভয় দেশের সরকারের কাছে আবেদন রাখছি যাতে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমনে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সনে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের এবং সরকারের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি আমাদের অর্জনকে তছনছ করে দেবে আমরা তা কখনও মেনে নিতে পারি না। উভয় দেশের জনগণের কাছে আমাদের বিনম্র আমাদের আবেদন বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গড়ে উঠা বাংলাদেশকে কুচক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন এবং সর্বাবস্তায় উভয় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন।