সড়ক দুর্ঘটনায় হত অসহায় পরিবারের পাশে নদওয়া ও হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন
বরাক তরঙ্গ, ১৮ অক্টোবর : মিজোরামের লুংলেতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় উত্তর কাটিগড়ার সেউতি এলাকার হত লরি চালকের বিধবা স্ত্রী, পিতৃহারা তিন অবুঝ সন্তানের কাছে মানবিক সাহায্য নিয়ে পাশে দাড়াল উত্তর পূর্ব ভারত নদওয়াতুত তামির ও বরাকের অগ্রণী সামাজিক সংগঠন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন। শুক্রবার বিকেলে নদওয়ার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাটিগড়ার প্রাক্তন বিধায়ক মওলানা আতাউর রহমান মাঝারভূইয়ার নেতৃত্বে জেলা নদওয়ার সাধারণ সম্পাদক মওলানা নুরুল হক বড়ভূইয়া, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিনিওর বিডিও শিহাবুদ্দিন আহমদ ও ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক মিলন উদ্দিন লস্কর তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মিজোরামের লুংলেতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সেউতি জিপির বাসিন্দা আনর উদ্দিন বড়ভূইয়ার ছেলে জাকির হোসেন বড়ভূইয়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকিরের মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। জাকিরের পরিবারে স্ত্রী আনোয়ারা বেগম সহ তিন নাবালক শিশু ও পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত বাবা সহ ভাইবোন রয়েছে।
এই অসহায় পরিবারকে এদিন নদওয়ার বয়তুল মাল তহবিল থেকে দশ হাজার চেক তুলে দেন মওলানা আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ মুনিম রসুল মজুমদার সংবাদপত্রের মাধ্যমে এই পরিবারের অসহায় অবস্থার খবর পেয়ে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কুড়ি হাজার টাকা দান করেন। তাঁর পক্ষে ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিহাবুদ্দিন আহমদ ও মিলন উদ্দিন লস্কর হত লরিচালকের স্ত্রীর হাতে নগদ কুড়ি হাজার টাকা তুলে দেন। নদওয়া এবং হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা এদিন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিবারের তিন সন্তানের পড়াশুনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দেন।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনাপুর যুব নদওয়ার সম্পাদক মওলানা বিলাল উদ্দিন, বিক্রমপুর আঞ্চলিক নদওয়ার সম্পাদক মওলানা জামিল আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আজিজুর রহমান বড়ভূইয়া সহ আরও কয়েকজন।