ওপার বাংলার জকিগঞ্জে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন

ওপার বাংলার জকিগঞ্জে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ অক্টোবর : শেষবারের মতো তেল-সিঁদুর পরিয়ে, চোখের জলে দুর্গতিনাশিনী মা দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছে ওপার বাংলার জকিগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। রবিরার বিকেলে থেকে শুরু হয় উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিমা জকিগঞ্জ কাস্টম ঘাটে নিরঞ্জন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠে সীমান্ত ঘেঁষা এ নদীপাড়ের নানা ধর্ম-বর্ণের হাজারো মানুষ। ঢাকঢোল, কাসর, করতাল, মন্দিরা, বাঁশি এবং শঙ্খ’র ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা এলাকা। দেবী দুর্গার বিদায়কে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকা জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর ভারত ও বাংলার দুই তীরের বসেছিলো মানুষের মিলনমেলা। জড়ো হন হাজারো পূজারী ভক্ত অনুরাগী, দর্শনার্থী ও শুভার্থীরা। হিন্দু, মুসলিমের পদচারণয় মুখরিত হয়ে উঠে জকিগঞ্জ শহরের কাস্টমঘাট ও ভারতের কাস্টমঘাটস্থ অখণ্ড মণ্ডলী মন্দিরের প্রাঙ্গণ।

মর্তলোক থেকে কৈলাসে দেবীকে বিদায় জানাতে নেচে গেয়ে মাতোয়ারা হন ভক্তরা। সেজেছিলেন উৎসবের বর্ণিল রঙে। কুশিয়ারা নদীর উভয় পারের প্রতিমা বিসর্জনে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভাবেই বাঙালি হিন্দুদের এ উৎসব ভারত ও বাংলাদেশের কুশিয়ারা নদীর দুই তীর চলে আসছে।

ওপার বাংলার জকিগঞ্জে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন

পুজার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ জকিগঞ্জের সর্বস্থরের মানুষ। প্রতিমা নিরঞ্জন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ও কাস্টমসে পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল, আনসার সদস্যরা ছিল সর্তক অবস্থায়। লক্ষ করা গেছে ভারতের করিমগঞ্জেও ভারতীয় বাহিনী সর্তক ছিল।

ওপার বাংলার জকিগঞ্জে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন

কাস্টমঘাটে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে  উপজেলা পূজা পরিষদ সহ জেলা পূজা পরিষদের কর্মকর্তা ও বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

Author

Spread the News