প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বাসে কিশোরীর গলা কেটে হত্যা
১৮ সেপ্টেম্বর : প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে সকলের সামনে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে জবাই করল এক যুবক। এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কেতুগ্রাম থানার কুমোরপুরের কাছে।
নিহত কিশোরীকে কাটোয়া থানার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আরসিদা খাতুন (১৫) ওরফে জ্যোতি নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। কিশোরীকে চলন্ত বাসের মধ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে ধান জমি দিয়ে ছুটে পালিয়ে যায় বাবু শেখ নামে ঘাতক যুবক। পুলিশ তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কাটোয়া ডিডিসি গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল আরসিদা খাতুন। কেতুগ্রাম থানার আন্না গ্রামে তার মাসির বাড়ি। দিন দুয়েক আগে মাসের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল আরসিদা।

আজ মাসি শম্পা বিবি ও পাঁচ বছরের মাসতুতো ভাইয়ের সঙ্গে কাটোয়ায় বাড়ি ফিরছিল কিশোরী। বাসের প্রথম গেটের পর দ্বিতীয় সিটে জানালার ধারে বসেছিল জ্যোতি। পাশেই ছেলেকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন তার মাসি শম্পা বিবি। কুমোরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছেড়ে যেতেই একটি ইটভাটার সামনে বাসটি দাঁড়ালে কালো প্যান্ট ও সাদা জামা পরে বাসে ওঠে ঘাতক যুবক বাবু শেখ।

শম্পা বিবি জানান, আজ বাসে তেমন ভিড় ছিল না। ওই যুবক তাদের সিটের পাশেই এসে দাঁড়ায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই যুবক পোশাকের ভিতর থেকে একটা ধারাল ছুরি বের করে জ্যোতির গলায় একাধিকবার পেঁচিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করলাম ওই যুবককে, কেন মেয়েটাকে জবাই করছিস? কিন্তু সে আমার কোনও কথার উত্তর না দিয়ে পিছনের গেট দিয়ে লাফ দিয়ে নেমে মাঠে ছুটে পালিয়ে যায়।’
জানা গেছে, নিহত কিশোরী মাসির চিৎকার শুনে তৎক্ষণাৎ বাস থামিয়ে দেয় চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ কিশোরীর গলাকাটা রক্তাক্ত নিথর দেহ নিয়ে যায়। এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে এই প্রকার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসের যাত্রীরা। নিহত কিশোরীর পরিবারের দাবি ঘাতক যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।