ভৈরবীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রেল পরিষেবা, তলিয়ে যাচ্ছে রেল ট্র্যাক।

ভাঙন প্রতিরোধে মালবাহী ট্রেন দিয়ে চলছে মাটির ফেলার কাজ

এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ২১ আগস্ট : রেলপথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম।শিলচর-ভৈরবী রেল রুট নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে এই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীর করাল গ্রাস থেকে লাইনকে বাঁচাতে মালবাহী ট্রেন দিয়ে চলছে মাটির ফেলার কাজ। মঙ্গলবার রাতভর লড়াই চালিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। বুধবারও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়েছে রেলবিভাগ। তবে নদী ভরা জলের মধ্যে রেলবিভাগ কতটুকু সফল হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে কিল্লারবাক ঝালনাছড়া জিপির কিল্লারবাক এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর করাল গ্রাস বহু পরিবারকে ভিটেমাটি হারা করে দেওয়ার পর এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে ভৈরবী-শিলচর রেল রুটে। প্রায় ৭০মিটার জায়গা জুড়ে এই ভাঙ্গনের যে রাক্ষুসে চেহারা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা খুবই ভয়ানক। যে হারে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে যে কোন সময় ধলেশ্বরী নদীতে তলিয়ে যেতে পারে শিলচর ভৈরবী রেলরুট।

ভৈরবীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রেল পরিষেবা, তলিয়ে যাচ্ছে রেল ট্র্যাক।

কয়েক বছর থেকে কিল্লারবাক গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর করাল গ্রাসে বেশ কয়েকটি পরিবার নদীগর্ভে চলে গেলে ভাঙন প্রতিরোধে কোন ধরণের প্রতিরোধ  ব্যবস্থা নেয়নি জলসম্পদ বিভাগ।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল তাদের লাইনকে বাচাতে উদ্যোগ নিলেও কাজে আসছে না। সোমবার থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় জামিরা স্টেশন থেকে ভৈরবী পর্যন্ত শিলচর ভৈরবী আপ-ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই রুটে ফের ট্রেন ছুটবে তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণের ফলে নদীভর্তি জল থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে রেল বিভাগের। জল কমা শুরু হলে নদী ভাঙ্গনের রূপ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

ভৈরবীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রেল পরিষেবা, তলিয়ে যাচ্ছে রেল ট্র্যাক।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে ভৈরবী শিলচর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেন শিলচর পৌছে গেলে শিলচর ভৈরবী আপ পেসেঞ্জার ট্রেন ভৈরবী পৌছাতে পারেনি। শিলচর থেকে রওয়ানা হয়ে জামিরা স্টেশনে ট্রেন আটকে দেন রেল কর্মীরা। জামিরা স্টেশন থেকে ভৈরবী পর্যন্ত এই ট্রেনকে সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

Author

Spread the News