ভারী বৃষ্টিতে ত্রিপুরায় ভয়াবহ অবস্থা, ধস ও বন্যায় মৃত্যু ৭

ভারী বৃষ্টিতে ত্রিপুরায় ভয়াবহ অবস্থা, ধস ও বন্যায় মৃত্যু ৭

বরাক তরঙ্গ, ২০ আগস্ট : অতি ভারী বর্ষণে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা জনজীবন বিপর্যস্ত। বাড়িঘর ছেড়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী শিবিরে। বিভিন্ন স্থানে ধস পড়ে মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ সাতজনের। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র জলে থৈ থৈ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি জমি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তির। দ্রুত উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে প্রশাসন।

এ দিকে, পাহাড়ের মাটি ধ্বসে পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হলো। ঘটনা শান্তিরবাজার মহকুমায় অন্তর্গত দেবীপুর এডিসি ভিলেজ কচ্চপছড়া পাড়ায়। জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণে ফলে মঙ্গলবার ভোর চারটা নাগাদ ত্রিশংকর চাকমা বসত বাড়িতে পাহাড়ের মাটির ধ্বসে পড়ে পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় পরিবারের একজন সদস্য। রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এলাকাবাসী উদ্ধারের কাজে হাত লাগায়। মৃতদের নাম ত্রিশংকর চাকমা, রঞ্জনি চাকমা, মিতা চাকমা।

ভারী বৃষ্টিতে ত্রিপুরায় ভয়াবহ অবস্থা, ধস ও বন্যায় মৃত্যু ৭

বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণবাতের কারণে এই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আগরতলা শহরের অবস্থাও বেহাল। বিশেষ করে রাজধানীর বনমালীপুর, বলদা খাল, শ্রীলঙ্কা বস্তি, রামঠাকুর পল্লী, কাশিপুর, চন্দ্রপুর, বড়জলা, জয়নগর, প্রতাপগড় সহ বিভিন্ন এলাকা জলে প্লাবিত হয়ে যায়। সোমবার রাতের বেলায় নামানো হয়েছে বোট। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চলে মানুষকে বাড়ি ঘর থেকে উদ্ধার করার কাজ। হাওড়া নদীর জল ফুলে উঠে। মানুষ জীবন রক্ষা তাগিদে পরিবারকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের আশায় রওনা হয়। লক্ষ্য করা যায় চন্দ্রপুর সহ আশপাশ এলাকা পুরোপুরি জলমগ্ন। জাতীয় সড়কও জলে নিচে তলিয়ে যায়। জলের নিচে তলিয়ে যায় রাস্তার পাশে থাকা পেট্রোল পাম্প। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, জিরানিয়া মহাকুমা প্রশাসন এবং সদর মহকুমা প্রশাসন যৌথভাবে মানুষকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে। কাজে কোন ধরনের ভাগাভাগি না করে আগে মানুষের জীবন রক্ষা করছে তারা।

Author

Spread the News