‘অস্তিত্ব’-র চতুর্থ সংখ্যা উন্মোচন
বরাক তরঙ্গ, ৩ আগস্ট : ছোটপত্রিকা ‘অস্তিত্ব’ এর আবরণ উন্মোচন হল। শনিবার জেলা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে অস্তিত্বের চতুর্থ সংখ্যা সহ উপত্যকার খ্যাতনামা গল্পকার শেখর দাশের একটি গ্রন্থ উন্মেচন করেন স্বপ্না ভট্টাচার্য, সুমিতা ঘোষ, শুভ্রা নাগ, রমা পুরকায়স্থ, দিব্যেন্দু দাসরা। পত্রিকার উদ্যোগ-উদ্দেশ্য এবং প্রথম থেকে চতুর্থ সংখ্যা অবধি পথ-পরিক্রমার নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সহযোগী এবং বিদগ্ধ ব্যক্তিবর্গের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সম্পাদক জয়শ্রী ভূষণ। এই সংখ্যাকে বিশেষ কাজ বলে আখ্যা দেন জয়শ্রী। স্বপ্না ভট্টাচার্য বলেন, এই পত্রিকাগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজের মধ্য দিয়ে পরিচয় তাঁর। করোনার সময় আর্তজনের মধ্যে তাঁরা কাজ জরেছেন, সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সংগ্রাম না থাকলে সৃষ্টি হয় না। শিল্পসাহিত্যের ক্ষেত্রে এই পটভূমি ভীষণ জরুরি। সুমিতা ঘোষ তাঁর ভাষণে দেশভাগ, ভাষিক আগ্রাসন, বিদেশি বিতাড়ণ, এনআরসি ইত্যাদি নিয়ে নিজের অস্তিত্ব জিইয়ে রাখা আসলে লড়াই। এবং এরকম কাজের মধ্য দিয়েই তা জারি রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। বলেন, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মেয়েদের সংকটের কথা তুলে ধরেন। শুভ্রা নাগ বলেন, জীবনযাপনের বৃহত্তর ক্যানভাসের অংশীদার পুরুষও।
বরাকের নারীদের বিভিন্ন সময়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিস্তৃত পরিসরে অবদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন রমা পুরকায়স্থ। তিনি শয্যাশায়ী শেখর দাশকে একজন ব্যতিক্রমী গল্পকার, ঔপন্যাসিক বলে আখ্যায়িত করেন। শেখর দাসকে বাংলা সাহিত্যের দশজন গল্পকারের মধ্যে একজন বলে বর্ণনা করে নব-প্রজন্মের লিখিয়ে ও পাঠকদের তাঁর লেখা অবশ্য পাঠের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য ইতিহাসের অধ্যাপক দেবশ্রী দত্তও। শুরুতে উপত্যকার বিশিষ্ট শিল্পী সুদীপ্তা ভট্টাচার্য ও বিশ্বজিৎ বিশ্বাস দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন।