মেডিক্যালে টেস্টের মূল্য ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রতিবাদ এসইউসিআইর

বরাক তরঙ্গ, ২ আগস্ট : কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য এবং সমাজের গরিব মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র-অর্থায়নকৃত গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (GMCH), সেখানে উপলব্ধ মোট ১০৭টি ক্লিনিকাল পরীক্ষায় মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। রেজিস্ট্রেশন ফি সহ, বেশ কয়েকটি পরীক্ষার মূল্য প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিদিনের বেড চার্জ আগে দশ টাকা বেড়ে কুড়ি টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ১০০ শতাংশ বেড়েছে। তা ছাড়া, জিএমসিএইচ-এ উপলব্ধ সমস্ত বায়োকেমিস্ট্রি পরীক্ষায় প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে লিভার, কিডনি, প্রোটিন, অ্যালকোহল, ইউরিক অ্যাসিড এবং আরও অনেক কিছুর জন্য ক্লিনিকাল পরীক্ষায় বৃদ্ধি।

থাইরয়েড টেস্টের আগে যার দাম ছিল ৬০০ টাকা, এখন ৮০০ টাকা করা হয়েছে। ডি-ডাইমার পরীক্ষা, আগে যার দাম ছিল ৭৫০ টাকা, এখন হবে রোগীদের খরচ ১২০০ টাকা। একইভাবে ফোলেট টেস্টের দাম ৩০০ টাকা থেকে বেড়েছে ৯০০ টাকা, ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি। আয়রন প্রোফাইল পরীক্ষা, যার দাম আগে ৬৬০ টাকা এবং হবে এখন খরচ হবে ১১০০ টাকা।

মেডিক্যালে টেস্টের মূল্য ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রতিবাদ এসইউসিআইর

এ দিকে, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের পঞ্জীয়ন মাশুল সহ বিভিন্ন ধরনের মাশুল ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর বিরুদ্ধে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের অসম রাজ্য কমিটি। দলের রাজ্য সম্পাদক চন্দ্ৰলেখা দাস এক প্রেস বার্তায় বলেন, প্রতিটি নিত্যপ্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰীর আকাশলঙ্ঘী মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যে প্রায় সর্বশান্ত হওয়া সাধারণ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসার ন্যূনতম সুবিধা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খণ্ডের ব্যবসায়ীকরণ ও বেসরকারিকরণ যে নীতি সরকার গ্ৰহণ করেছে, তা এই সিদ্ধান্তে প্ৰতিফলিত হয়েছে। শুধু মেডিক্যাল কলেজেই নয় সরকার সবক’টি সরকারি চিকিৎসালয়ের ক্ষেত্রে এই নীতি অচিরেই কাৰ্যকর করবে। সভ্য গণতান্ত্ৰিক একটি দেশে অৰ্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় যাতে কারো মৃত্যু না হয়, সেই উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার পর বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সরকার বহুজাতিক কোম্পানির স্বাৰ্থে জনস্বাৰ্থ জলাঞ্জলি দিয়ে স্বাস্থ্যখণ্ডের বেসরকারিকরণের পথে এগুচ্ছে।

দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্ৰ বিরোধীতা করে অবিলম্বে চিকিৎসা মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্ৰত্যাহারের দাবি জানান। পাশাপাশি সরকারের এই চূড়ান্ত জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে রাজ্যবাসীকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।

Author

Spread the News