সাইনবোর্ড ভেসে উঠলেও প্রকল্প বাস্তবে ছিল না গত পাঁচ বছর : বিধায়ক সাজু
নিপ্পু লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ১ আগস্ট : এখন সাইনবোর্ডের সঙ্গে সোনাইয়ে কাজও রয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বড় বড় সাইনবোর্ড ভেসে উঠলেও প্রকল্প পাওয়া যেতো না। বুধবার
হাতিখাল ও দক্ষিণ মোহনপুর জিপির কামকাজ খতিয়ে দেখে এই মন্তব্য করেছেন বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া। এদিন দুই জিপির কাজ পরিদর্শন সহ পর্যালোচনা সভাও করেন তিনি। পরে এনিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক করিম উদ্দিন জানান, সোনাই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি রাস্তা সংস্কার আগামী মরশুমেই শুরু করবেন। জনগণকে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে তিনি যেকোনো পর্যায়ে রাস্তা সংস্কার করে দেবেন।
এছাড়া এদিন দুই জিপির জল জীবন মিশনের প্রকল্প গুলোর নির্মাণ দেখেন। এতে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভাব-অভিযোগ শোনেন বিধায়ক সাজু। গত এক সপ্তাহ থেকে সোনাইর জিপি গুলোর উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শন করেন বিধায়ক করিম উদ্দিন। প্রত্যেকটি কাজের গুণগত মান যাচাই করেন তিনি। এনিয়ে আয়োজিত সভায় বিধায়ক সাজু বলেন, আগে প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর ব্লকের কাজে হস্তক্ষেপ করে দুর্নীতি করেছেন। এমনকি হায়াত ও জন্নাত এন্টারপ্রাইজ নামের ভেন্ডর দিয়ে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। গ্রাম উন্নয়নের প্রত্যেকটি কাজে প্রভাব কাটিয়ে কমিশন আদায় করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। এখন কমিশন ও পার্সেন্টেজ প্রথা বন্ধ হয়েছে। তাই সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়ন হতে হবে। বলেন, পিএম আবাসে বাদ পড়া প্রকৃত লোকেরা আগামী এক বছরের মধ্যে ঘর পাবেন। এনিয়ে কাউকে টাকা না দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। সোনাইয়ে সুষ্ঠ উন্নয়নের পরিবেশ তাঁর আমলে ফিরে এসেছে। সবাই এখন উন্নয়ন কাজে জোর দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রের গ্রামগঞ্জের উন্নয়নে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি নিজেও। গ্রামের সমস্যা দূর করতে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান বিধায়ক সাজু।
এদিন বিধায়ক সাজুর সঙ্গে ছিলেন সোনাই ব্লকের অ্যাসিস্টেন্ট বিডিও কে কুঞ্জধন সিংহ, দুই জিপির সচিব রাহুল ধর ও জাফর হোসেন, জুনুবাবু লস্কর, ইসকন্দর আলি আহমেদ, সিরাজ উদ্দিন, নির্মল কান্তি দাস, জহিরুল ইসলাম বড়ভূইয়া, আজাদ হোসেন লস্কর, মজিবুর রহমান, মাখন লস্কর, অলি হোসেন, এমইউ মিজানুর রহমান, সজীব লস্কর, আফজল হোসেন লস্কর সহ অন্যান্যরা।