শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমে গুরু পূর্ণিমা পালন
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুলাই : অন্যান্য বছরের মতো এবছরও শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমে গুরু পূর্ণিমা পালন করা হয় সনাতনী ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে। সেদিন সকাল থেকে শুরু হয় গুরু পূজা, গুরু বন্দনা, শ্রীমদ্ভবদ গীতাপাঠ সহ আরো অন্যান্য সনাতন ধর্মীয় কার্যক্রম। রবিবার শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দ গিরি মহারাজ বলেন,হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব হলেন আদি গুরু। তাঁর প্রথম শিষ্য ছিলেন সপ্তর্ষির সাত ঋষি- অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য, মরীচি, কেতু। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরু রুপে রূপান্তরিত হন। তিনিই এই সাতঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন। তাই এই তিথি হল গুরুপূর্ণিমা। শুধু হিন্দু ধর্মেই গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য় রয়েছে তা নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও গুরুপূর্ণিমার গুরুত্ব রয়েছে। জানা যায়, বোধিজ্ঞান লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় সারনাথে প্রথম উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ। আর সেই সময় থেকেই গুরুর স্থানে বিরাজ করছেন বুদ্ধ। ভারতের অনেক জায়গায় গুরু পূর্ণিমার দিনে মহাঋষি বেদব্যাসের জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। ঋষি পরাশর ও মত্স্যগন্ধা সত্বতীর সন্তান ছিলেন বেদব্যাস। কিন্তু জন্মের পর তাণকে পরিত্য়াগ করলে পরবর্তী কালে তিনিই মহাঋষিতে পরিণত হন। তিনি চতুর্বেদের সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেন। ১৮টি পুরাণ ছাড়াও রচনা করেন মহাভারত ও শ্রীমদ্ভগবত। এরপর উপস্থিত বক্তাদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সেদিন অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন সভাপতি দিলীপ মিত্র, সহ-সভাপতি নেপাল চৌধুরী, সহ-সম্পাদক কাজল দে, রতন দে, সাধারণ সম্পাদক মিঠু চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ রেবতী রঞ্জন তালুকদার, কার্যকরী সদস্য প্রীতম চৌধুরী, দয়াল দে, মানু দে, রাকেশ চৌধুরী, মানিক দে, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, দেবাশিস বিশ্বাস, বাবু চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দে, পাপ্পু মিত্র সহ আরো অন্যান্যরা।