করিমগঞ্জ, ধুবড়ি, নগাঁও সব আসনেই পরাজয় ইউডিএফের
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুন : অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রীতিমত অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়ে গেল বদরুদ্দিন আজমলের এআইইউডিএফ। রাজ্য রাজনীতিতে এখন থেকে এই দলটির আর কোনও ভূমিকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে গ্রাহ্য হবে কি না এ নিয়েও সংশয়ের বাতাবরণ দেখা দিতে শুরু করেছে। দলের এত ভড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে তা দলের সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমলের পূর্বানুমানে ছিল বলে মনে হয় না। নিজের মজবুত আসন ধুবড়িতে নিজেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন আজমল। কংগ্রেস প্রার্থী রকিবুল হুসেনের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটল। আজমলের শোচনীয় পরাজয়ে অসম আজমল মুক্ত হয়ে পড়ল বলেও মনে করা হচ্ছে।
করিমগঞ্জে যেভাবে ধরাশায়ী হলেন ইউডিএফ প্রার্থী সাহাবুল ইসলাম চৌধুরী তেমনি নগাঁওয়ে ইউডিএফ প্রার্থী আমিনুল ইসলামের তরী ডুবে গেল। দীর্ঘ ১৮ বছরের যাত্রাপথের সমাপ্তি হল এআইইউডিএফের ! ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিতে চলেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ত্রাতা বলে পরিচিত দলটি। দলীয় কোন্দল, বিধায়কদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং সতীর্থ বিধায়কদের মধ্যে লেং মারামারি শেষ পর্যন্ত করিমগঞ্জে ভরাডুবি ঘটল এআইইউডিএফের বলে জোর চর্চা চলছে জেলা জুড়ে ! ১৮ বছরের দীর্ঘ যাত্রাপথের সমাপ্তির পথে না কি সংখ্যালঘু দরদী এই দল। মাত্র ৫ বছরের মাথায় বরাকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল ইউডিএফ। করিমগঞ্জ লোকসভা আসন সংরক্ষণমুক্ত হওয়ার আগে যে দল থেকে একবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন র্যাধেশ্বাম বিশ্বাস সেই দল থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমে জয় হাসিল করতে না পারলে বিশাল সংখ্যক ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি।