ঢাকায় বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনে সংবর্ধিত শিলচরের মিলন লস্কর
২২ এপ্রিল : বাংলাদেশ শুধু ভারতের প্রতিবেশী একটি রাস্ট্র নয়,এই দেশের সঙ্গে ভারতের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক কেউ নষ্ট করতে পারবে না। শনিবার রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘বিশ্ব বাঙালি সংসদ ‘ বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন-২০২৪ এর আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তার মুখে বারবার ঘুরেফিরে আসে একথা। সম্মেলনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাঙালির সম্প্রীতি বাঙালির সংস্কৃতি।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন দুই ভারতীয় প্রতিনিধি ত্রিপুরার লেখক গবেষক অশোকানন্দ রায় বর্ধন ও অসমের সাংবাদিক সংস্কৃতিকর্মী মিলন উদ্দিন লস্কর। লস্কর তাঁর বক্তব্যে মূলত ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী আরও সুদৃঢ় করার উপর জোর দেন।তিনি বলেন, দুই বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্ক কেউ সহজে নষ্ট করতে পারবে না, কারণ রক্তের বিনিময়ে এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মৈত্রীর সম্পর্ক থাকায় শুধু ভারত বাংলাদেশে লস্কর তাঁর বক্তব্যে মূলত ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী আরও সুদৃঢ় করার উপর জোর দেন।তিনি বলেন, দুই বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্ক কেউ সহজে নষ্ট করতে পারবে না, কারণ রক্তের বিনিময়ে এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মৈত্রীর সম্পর্ক থাকায় শুধু ভারত বাংলাদেশে বাণিজ্য করছে এটা সঠিক নয়। বাংলাদেশের পণ্যও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি শুধু উত্তরপূর্ব ভারতে কোটিকোটি টাকার ব্যবসাবাণিজ্য করছে। সভাপতি শাহাদত হোসেন নিপুও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম ইত্যাদি রাজ্যের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. সফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব বাঙালি সংসদ-এর সভাপতি লোকমান হোসেন পলা।
আলোচনায় বাংলাদেশ বাংলা অ্যাকাডেমির মহা পরিচালক জাতি সত্তার কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিশ্বে প্রতিটি দেশে বাংলাভাষা রয়েছে। তিনি বলেন, জাতি স্বত্তার চেতনায় পূর্ব পাকিস্তানে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল এবং পরে ভাষার চেতনা দিতে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বাংলাদেশের বাঙালি আজ বিশ্বের প্রতিটি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। যেখানে বাঙালি সেখানেই তাঁর সম্প্রীতি ও সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে গেছে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদি। এই পর্বে সাতজন ভারতীয় প্রতিনিধিকে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। এঁরা হলেন ড.চন্দন বাঙাল, সাংবাদিক সংস্কৃতিকর্মী মিলন উদ্দিন লস্কর, লোক গবেষক অশোকানন্দন রায় বর্ধন, কবি ও প্রকাশক বিল্লাল হোসেন, লেখক সুচিত্রা পাল, শিবাণী ভট্টাচার্য ও তরুণ শিল্পোদ্যোগী সামসুর রহমান লস্কর। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ছিল হাসনাইন সাজ্জাদির বিজ্ঞান কবিতার ধারণা নিয়ে আলোচনা ও কবিতা পাঠ। বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন ড. চন্দন বাঙাল, ড. সাইমন জাকারিয়া, অধ্যাপক মাহবুবা রহমান, ড. আহমেদ পারভেজ, রীণা তালুকদার, নুর উদ্দিন শেখ, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন শিশু সাহিত্যিক আসলাম সানি। শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশ করেন প্রশিকা গণ সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা। এছাড়াও বিশ্বের বাঙালিদের নানা সমস্যা নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবও গৃহিত হয়।