উমরাহ হজে গিয়ে প্রয়াত সমাজকর্মী রাজা লস্কর, শোক
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মার্চ : উমরাহ হজে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না মধুরবন্দের বাসিন্দা তথা যুবকংগ্রেস নেতা রাজা লস্করের। পবিত্র হজ (উমরাহ) পালনের উদ্দেশ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মাসে মক্কায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর উমরাহ হজ করার পরদিনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় সৌদি আরবের কিং ফয়সাল হাসপাতালে। প্রায় মাসখানেক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন রাজা। অবশেষে সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স ছিল ৩৫ বছর। মৃত্যুকালে রেখে গিয়েছেন পত্নী হাসিনা খানম লস্কর, বাবা আব্দুল মন্নান লস্কর, মা রিনা বেগম লস্করসহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ ও আত্মীয়স্বজন। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রাজা। পরিবার সূত্রের খবর জানাজার পর মক্কাতেই সমাহিত করা হবে তাঁকে। তিনি এসএস ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের অধীনে উমরাহ হজ করতে গিয়েছিলেন। অসুস্থ হওয়ার এসএস ট্র্যাভেলসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সহযোগিতা করে যান। তিনি দুই বছর ধরে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন।
তিনি যুব কংগ্রেসের জেলা সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ইত্যাদি পদেও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ছিলেন অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক। নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল কংগ্রেসের এই তরুণ নেতার। তাঁর ভুবন ভুলানো হাসি, অমায়িক ব্যবহারের কারণে দলের ভেতর ও বাইরে তিনি ছিলেন কার্যত এক অজাতশত্রু নেতা। প্রতিবাদী সত্তার পাশাপাশি তিনি ছিলেন এক মানবদরদী ব্যক্তি। মানুষের কল্যাণে আজীবন নিয়োজিত ছিলেন রাজা। সমাজসেবা ছিল তাঁর রক্তে। এছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি হাস্যকৌতুক নকশায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
এদিন তাঁর মৃত্যু সংবাদেও শোকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন রাজার মা-বাবা সহ নিকটাত্মীয়রা।