ছয় লেনের সড়ক নির্মাণের মাপজোখ পাথারকান্দিতে
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৮ ফেব্রুয়ারি : মহাসড়ক নির্মাণের মাপজোখ শুরু হল পাথারকান্দিতে। বসত বাড়ি, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সহ মন্দির মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত সড়কের কবলে। কেন্দ্র সরকারের ভারতমালা প্রকল্পের অধীনে এই মহাসড়কটি ছয়লেন বিশিষ্ট হিসাবে নির্মাণ হবে বলে সূত্রের খবর।কাছাড়ের কাটিগড়া থেকে উক্ত সড়কটি চোরাইবাড়ির কালাগাঙ্গের পার হয়ে পৌছে যাবে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়। ইতিমধ্যে এই সড়কটির ত্রিপুরার অংশের বেশকিছু স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে। নতুন সড়ক নির্মাণ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে খুশি দেশের জনগন।
এদিকে গত কয়দিন ধরে এই মহাসড়কের অঙ্গ স্বরুপ অসম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দিতে চলছে পৃথক পৃথক ভাবে মাপজোখের কাজ। এতে ভারত সরকারের এনএইচআইডিসিএল কর্তৃপক্ষ সহ জাতিয় সড়ক অথরিটি ও বন বিভাগ সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সরেজমিনে মাপজোখ করতে দেখা যাচ্ছে।বর্তমান ৮ নং জাতীয় সড়ক ধরে মহাসড়কটি পৌছাবে ত্রিপুরায়।
বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় কর্মকর্তারা দফায় দফায় লোয়াইরপোয়া এলাকার সলগই এলাকায় মাপজোখ করতে দেখা যায়। এতে অনেকের বসত বাড়ি সহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এমনকি মন্দির মসজিদ, স্কুল কলেজও নতুন প্রস্তাবিত সড়কের মাপজোখের কবলে পড়ছে বলে জানা গেছে। এতে স্বাভাবিক ভাবে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে।
জানা গেছে, নয়া মহাসড়কটি ষাট মিটার বর্ধিত হয়ে নির্মিত হবে।এতে সড়কের বাঁকগুলো কম করতে গিয়ে সড়কের উভয় পাশে ত্রিশ মিটার করে জমি অধিগ্রহন নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নতুন সড়কের মাপজোখে অনেকের বাড়ি ঘর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বর্তমান মাপজোখের কবলে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাপজোখে উপস্থিত কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা এনিয়ে কোন সদুত্তর দিতে নারাজ। তবে এনএইচআইডিসিএলের এক প্রকৌশলী জানান, সড়কের অধীনে যাদের পাট্টা জমি সহ বাড়ি ঘর দোকানপাট পড়বে, তারা সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণ পাবেন। বর্তমানে এসব তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।তবে সরকারি খাস ও সিলিং জমির মূল্য কেও পাবেন না।