দুই ছাত্রের মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা, পাল্টা মামলা
বরাক তরঙ্গ, ৫ সেপ্টেম্বর : শিবেরগুল মহাবীর পাব্লিক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের দুই ছাত্রের মধ্যে মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা মামলা পাল্টা মামলা গড়ালেও ঘটনার চার পাঁচ দিন অতিক্রম হওয়ার পরও ধরপাকড়ের কোনো খবর নেই এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমর্মে মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে সংবাদ সম্মেলন করে আহত হওয়া পড়ুয়ার বাবা নিপেন্দ্র দাস জানান, গত ৩১ আগস্ট তার ছেলে স্কুল পড়ুয়া বাপ্টু দাস ও তার সহপাঠি বিজয়া শর্মার ছেলের মধ্যে স্কুলে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। অতপর স্কুলের শিক্ষকরা এই বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু এতে বিজয়া শর্মার ছেলে সন্তুষ্ট না হয়ে নিজ বাড়িতে খবর পাঠিয়ে দেয়। এতে তার মা সহ আরও কয়েকজনকে স্কুলে ডেকে নিয়ে আসে। এমতাবস্তায় ওইদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ স্কুল ছুটি হলে গেটের বাইরে থাকা বিজয়া শর্মার ছেলে ও তার সঙ্গীরা বাপ্টু কে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। পরে বাপ্টু ভয়ে বিষয়টি শিক্ষকদেরকে জানায়। তখন স্কুলে কোন একটি বিশেষ সভা শিক্ষকরা ব্যস্থ থাকায় স্কুলের শিক্ষকরা তা পরে দেখে দেবেন বলে তাকে ফিরিয়ে দেন।এতে সে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসার পথে বিজয়া শর্মার ছেলে ও তার বেশ কজন সঙ্গী মিলে বাপ্টুকে প্রচণ্ড ভাবে মারধর করে এতে সে আহত হয়।
এমন খবর পেয়ে বাপ্টুর বড় ভাই নির্মল দাস তড়িঘড়ি স্কুলে এসে পৌঁছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে ছোট ভাইকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য যাওয়ার পথে ওই যুবকেরা পুনরায় নির্মলের উপরও চওড়া হয় এতে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার একটি চোখের উপর অনেকটা কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে তালে আহত অবস্থায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাদিন রয়েছে বলে জানান তার বাবা। পরে এমর্মে নিপেন্দ্র দাস সুবিচারের আশা নিয়ে বাজারিছড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরই মধ্য অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে ঘটনার পরের দিন বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপস মিমাংসা করতে চাইলে নিপেন্দ্র দাস তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন বর্তমানে তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় রয়েছে। তাই এখন এভাবে সমাধান করাটা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিজয়া শর্মা নাকি পাল্টা মিথ্যা মামলা করে বলেন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন নিপেন্দ্র দাস। তাই তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি রাখেন যাতে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অতিসত্যর অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান কার জন্য আবেদন জানান।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।