রাজ্যে বহু নদী বিপদসীমার উপরে, ভেসে গেল কাঠের সেতু মাজুলিতে
বরাক তরঙ্গ, ২৯ আগস্ট : বন্যা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগ তৈরি করেছে রাজ্যে। বন্যায় প্রায় দুই লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে বহু নদী বিপদসীমার উপরে বইছে। ব্রহ্মপুত্র ও এর উপনদীতে জলের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু নদীমাতৃক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার ক্যামেরার সামনে মাজুলির একটি সেতু ভেঙে ভেসে যায়।
মাজুলি ভকত চাপড়ির সঙ্গে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি ভেসে গেলে ১৭ টি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাঠের সেতুটি দিয়ে ১৭টি গ্রামের স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে জীবনরেখা হিসেবে ছিল।
এ দিকে, অসম সরকার সোমবার এক বুলেটিনে জানিয়েছে, রাজ্যে বন্যায় এক লক্ষ নব্বই হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বেড়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে সরকারি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর কোথাও কোথাও বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। গুয়াহাটি এবং যোড়হাট ফেরি পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে। অসমের মোট ১৭টি জেলা বর্তমানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। এর পরেই ধেমাজি। বন্যায় এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অসম সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খুলেছে। এ পর্যন্ত ৪৫টি ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০০ মানুষ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ছাড়াও বেকি, দিশাং, দিখৌ ও সুভানসিরি নদী বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যার কারণে রাজ্যের ৮০০০ হেক্টরের বেশি কৃষি জমি জলের তলায়।
বন্যায় বিশ্বনাথ, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, যোড়হাট, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, তামুলপুর এবং ওদালগুড়ি জেলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।