বিদ্বেষমুলক বক্তব্যের পরই খুন মুসলিম যুবক, গ্রেফতার চার
২০ জানুয়ারি : বিদ্বেষমুলক বক্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটে গেল খুনের ঘটনা। ঘটনাটি কর্নাটকের গাদাক জেলার। ওই জেলার নারগুন্দ থানার কাছে বিদ্বেষ ভাষণ দিচ্ছিলেন বজরং দলের নেতারা। তার কিছুক্ষণ পর বজরং দলের কর্মীরা বাইক থামিয়ে দুই মুসলিম যুবককে ছুরি মেরে খুন করে। পুলিশ এই ঘটনায় চারজন বজরং কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, গত সোমবার নারগুন্দ থানার কাছে এক সভায় বজরং দলের নেতারা সন্ধ্যার সময় বিদ্বেষ ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাত সাড়ে সাতটার সময় পাশের রাস্তা দেয় বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন সামির শাহপুর ও তার বন্ধু শামসির পাঠান। সেমসয় বাইক থামিয়ে বজরং দলের কর্মীরা তাদের ছুরি মারতে থাকে। সামির ও শামসিরকে উদ্ধার করে হুব্বালির কর্নাটক ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করলে সামিরের মৃত্যু হয়। আর শামসিরের চিকিত্সা চলছে।
সামিরের ভাই মুহাম্মদ জুবাইর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শামির একটি চা দোকান চালান। আর শামসির একটি স্টুডিও চালান। শমাসির স্টুডিও বন্দ করে বন্ধু সামিরকে নিয়ে যাওযার সময় জনা পনেরো বজরং দল কর্মী তাদের পথ আটকায়। তাদের নেৃতত্ব দেন বজরং দলের নেতা মল্লিকাুর্জন ওরফে গুন্ডা মুত্তাপাপা হিরেমথ।
এ ব্যাপারে গাদাক জেলা পুলিশ সুপার দেবরাজু জানিয়েছেন, বিদ্বেষ ভাষণের জন্য এফআইর দায়ের করা হয়েছে। আর খুনের অভিযোগ মল্লিকার্জুন সহ চান্নাবাসাপ্পা ওরফে চান্নু, চন্দ্রশেকর আক্কা ও সাকারাপ্পা হনুমন্থাপ্পা কাকানুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বজরং দলের সঙ্গে পুরনো ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।