এনএইচএম কর্মচারীদের ধর্মঘটে সামিল সুস্মিতা-খলিল
বরাক তরঙ্গ, ৫ নভেম্বর : এনএইচএম কর্মচারীদের ধর্মঘটের শেষ দিনে শিলচর সিভিল হাসপাতালের আন্দোলনস্থলে সামিল হন সাংসদ সুস্মিতা দেব, কাটিগড়ার বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার ও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সজল আচার্য। তাঁরা এনএইচএম কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানান। সাংসদ দেব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এনএইচএম কর্মচারীদের মুখ্য দাবি সম কাজে সম বেতনের দাবিটি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। বাদবাকি দাবিসমূহও ন্যায্য বলে মন্তব্য করেন। এ দিকে, আন্দোলন বিষয়ে ফোনে এনইএ সভাপতির কাছ থেকে খবর নেন লোকসভার উপনেতা গৌরব গগৈ। তাঁর নির্দেশে অন্তিম সময়ে উভয়েই বিষয়টি সাংসদ গৌরব গগৈকে সবিস্তারে জানাবেন বলে জানান। আসন্ন বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থাপন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার।
ধর্মঘটে সারা রাজ্যের সঙ্গে কাছাড় জেলায়ও স্বাস্থ্য পরিসেবা বিপর্যস্ত হয়। তবুও সরকারের টনক নড়েনি। গোটা রাজ্যে প্রায় ২২ হাজার এনএইচএমের কর্মচারী রয়েছেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সংগঠন কর্মকর্তারা মিশন সঞ্চালকের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সন্তোষজনক কোন ফলাফল বের হয়নি। তাই পূর্বঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয় এবং আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত “নো রিপোর্টিং” ধর্মঘট চলবে।
এদিন সুস্মিতা দেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এনইএ এবং আটোয়া -র কর্মকর্তারা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার ও সজল আচার্যের প্রতিও।

