নারী শক্তি আত্মনির্ভর অসমের মূল ভিত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

রামকৃষ্ণনগরে চেক বণ্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ অক্টোবর : আর্থিক সহায়তা শুধু একটি চেক নয়, এটি মহিলাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এতেই আজ নারী নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। রামকৃষ্ণনগরে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শুক্রবার রামকৃষ্ণনগরে মহিলা উদ্যোমিতা চেক বণ্টন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যাদের গ্রামীণ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তাঁরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন।

নারী শক্তি আত্মনির্ভর অসমের মূল ভিত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজ্যের  প্রত্যেকটি মা,বোন ও মহিলা আত্মনির্ভর হোক, স্বাবলম্বী হোক এটাই স্বপ্ন। এই প্রকল্প সেই স্বপ্নপূরণের সেতুবন্ধন। নারীদের হাতে গ্রামীণ অর্থনীতির চাবিকাঠি আজকের দিনে নারী আর শুধুমাত্র সংসারের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ নন  তিনি এখন কৃষি, হস্তশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকে শুরু করে শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এই প্রকল্প তাঁদের সেই অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করবে।

নারী শক্তি আত্মনির্ভর অসমের মূল ভিত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে বিধায়ক বিজয় মালাকার প্রশংসা করে বলেন, ভাই বিজয় কাজের লোক। বিজয় মালাকার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রামকৃষ্ণবগর রাতাবাড়ি পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, বিজয় মালাকারকে তিনি দুই বার বলেছিলেন তুমি কি চাও মন্ত্রী হতে। তখন বিজয় বলেছিল আমাকে দাদা আমি মন্ত্রী হতে চাই না। তখন সে তার নির্বাচনীয় কেন্দ্রের উন্নয়নের সার্থে মেডিক্যাল কলেজ চান বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু উন্নয়নের কথা বলেন না বিজয় কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেন। তাঁর নেতৃত্ব আজ রাতারাডি কেন্দ্র উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাবলম্বী, আত্মবিশ্বাসী এবং নারী-নেতৃত্বাধীন এক নতুন যুগের পথে। এছাড়াও তিনি জানান, রামকৃষ্ণনগরের প্রতিটি ব্লকে মহিলা উদ্যোমিতা অভিযানের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে, যাতে কোনও নারী পিছিয়ে না থাকে।

নারী শক্তি আত্মনির্ভর অসমের মূল ভিত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যোমিতা অভিযান-এর অধীনে এলাকার হাজার হাজার মহিলাকে চেক বিতরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে দেওয়া হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল নারী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের এক জাঁকজমকপূর্ণ উদযাপন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিজয় মালাকার, দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল কৌশিক রায়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, সমাজকর্মী এবং শত শত মহিলা উদ্যোক্তা। ১৮,৭৪৫ জন উপকারভোগী পেলেন আর্থিক সহায়তা

Spread the News
error: Content is protected !!