শিলচরের উন্নয়নে আরও ১ হাজার কোটি, ফ্লাইওভারের কাজ শীঘ্রই : মুখ্যমন্ত্রী
রূপক চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ অক্টোবর : শিলচরের উন্নয়নের জন্য আরও ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এবং কিছু দিনের মধ্যে শিলচরের ফ্লাইওভারের কাজ শুরু করা হবে। শুক্রবার শহরবাসীকে এই সুসংবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই সুসংবাদের পাশাপাশি পুরুষদের বিরুদ্ধে কড়া ফরমানও দিলেন। একজন স্ত্রীর বেশী কোন পুরুষের থাকতে পারবে না। যদি এমন হয় তাহলে সাত বছরের জেল কাটতে হবে। শুধু মুখে নয়, শীঘ্রই আইনে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা।

শুক্রবার দু’দিনের বরাক সফরে একাধিক কার্যসূচি নিয়ে পৌঁছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এ দিন সকালে কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেখান থেকে রামকৃষ্ণনগরে মহিলা উদ্যোমিতার অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রামকৃষ্ণনগর বিধানসভায় ১৮৭৪৩ জন মহিলা হিতাধিকারি হাতে উদ্যোমিতার যোজনার চেক তুলে দেন। রামকৃষ্ণনগরের অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টার যোগে শিলচর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে মহিলা উদ্যোমিতার টাকা প্রদানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রীর। উপস্থিতিতে শিলচর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যোমিতার অধীনে ১৩১৯৩ জন মহিলা হিতাধিকারিদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন। এই অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মহিলা ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮ কোটি ব্যয়ে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট সুপারস্পালিষ্ট হাসপাতালের শিলান্যাস করেন।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শক্তিশালী মহিলা সমৃদ্ধি সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজেপি সরকার কাজ করছে। পুর নিগমের নির্বাচন নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন নিয়ে নির্বাচন বিষয়ে এখন বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, জুবিন গর্গের ন্যায় বিচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মাঠে নেমে প্রতিবাদ করবেন। আদালতে যে সিদ্ধান্ত দেবে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুবিন গর্গকে ন্যায় প্রদান করা হবে এবং জুবিন গর্গকে নিয়ে রাজনীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। তাছাড়া অখিল গগৈই জুবিনকে নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের আরও জানান, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮ কোটি ব্যয়ে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট সুপারস্পালিস্ট হাসপাতালের অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চালু হলে কেবল বরাক উপত্যকাই নয়, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং মিজোরামের মতো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির রোগীরাও উপকৃত হবেন। হৃদরোগ, ক্যানসার, নিউরো, ও নেফ্রো চিকিৎসা সহ বিশেষায়িত বিভাগগুলির মাধ্যমে এই হাসপাতাল বরাক উপত্যকায় “মেডিক্যাল হাব”-এর সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দুই মন্ত্রী কৌশিক রায় ও কৃষ্ণেন্দু পাল, দুই সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য ও কণাদ পুরকায়স্থ, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, মিহিরকান্তি সোম, নীহাররঞ্জন দাস, জেলা বিজেপি সভাপতি রূপম সাহা, জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, সিনিয়র পুলিশ সুপার নুমুল মাহাতো সহ আরও অনেকে।

