‘নব্য-বৌদ্ধধর্ম’ নিয়ে জাতীয় ওয়েবিনার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
বরাক তরঙ্গ, ১৪ অক্টোবর : ধর্মচক্র প্রবর্তন দিবস উপলক্ষে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আম্বেদকর চেয়ারের উদ্যোগে মঙ্গলবার আয়োজিত হল একদিনের জাতীয় ওয়েবিনার। মধ্যপ্রদেশ সাগরের ড. হরি সিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্জাব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আম্বেদকর চেয়ারের সহযোগিতায় আয়োজিত এই ওয়েবিনারের বিষয় ছিল ‘বাবাসাহেব আম্বেদকরের নব্য-বৌদ্ধধর্ম’।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০০ জন গবেষক ও ছাত্রছাত্রী এতে অংশ নেন। এই ওয়েবিনারে ড. বি আর আম্বেদকরের বৌদ্ধধর্মে ঐতিহাসিক ধর্মান্তরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যা নবযান/নব্য-বৌদ্ধধর্মের এই রূপান্তরকারী আন্দোলনের সূচনা করেছিল। সেইসঙ্গে ন্যায় ও সমতাকে কেন্দ্র করে এক দার্শনিক, নৈতিক ও সমাজ-রাজনৈতিক বিপ্লব শুরু করেছিল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. আম্বেদকর চেয়ারের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক ড. মৌমিতা নাথ। উদ্বোধনী অধিবেশনে পৌরোহিত্য করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক পন্থ গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য এই আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতার ওপর জোর দেন। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খগেন্দ্র কুমারও বক্তব্য রাখেন।
পরে ড. আম্বেদকর চেয়ারের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক দেবতোষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মূল শিক্ষামূলক অধিবেশন। এতে ১২টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। উপস্থাপকদের মধ্যে ছিলেন ড. দেবেন্দ্র বিশ্বকর্মা, ড. দীপ নারায়ণ কুমার, ড. অভয় কুমার, সুধীর হিলসায়ান, ড. মৌমিতা নাথ সহ আরও অনেকে। তাঁদের গবেষণাপত্রগুলিতে দেখানো হয় যে কীভাবে নব্য-বৌদ্ধধর্ম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মুক্তির জন্য একটি যৌক্তিক কাঠামো হিসাবে কাজ করে।
শেষে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেন পঞ্জাব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কানহাইয়া ত্রিপাঠি। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আম্বেদকর চেয়ারের ডক্টরাল ফেলো বিশাল দাস।