জানুয়ারিতে এক্সপ্রেসওয়ে ও ডলু বিমানবন্দরের শিলান্যাস, আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী : কৌশিক

বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ অক্টোবর : আগামী বছরের পয়লা মাসে বরাপানী থেকে বদরপুর এক্সপ্রেসওয়ে ও ডলু বিমানবন্দরের শিলান্যাস করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ইটখোলা দলীয় কার্যালয়ে মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া ও অসম রাজ্য  সভাপতি দিলীপ শইকিয়াকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। 

তিনি আরও বলেন, শিলচর বীরবল বাজার থেকে মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং মধুরাঘাট বরাক সেতুর শিলান্যাস হবে। শীঘ্রই কাছাড়ের মহিলা সবলীকরণে দশ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হবে। জানুয়ারির মধ্যে বরাক ভ্য়ালি সেক্রেটারিয়েট উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।

জানুয়ারিতে এক্সপ্রেসওয়ে ও ডলু বিমানবন্দরের শিলান্যাস, আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী : কৌশিক

সাংবাদিক সম্মেলনে অসম রাজ্য সভাপতি দিলীপ শইকিয়া বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত নয় বছরের শাসনকালে বরাক উপত্যকার উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে বরাক উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি এও বলেন, বহু প্রতীক্ষিত ইস্ট ওয়েস্ট করিডর জানুয়ারিতে শেষ হবে। বালাছড়া এলাকায় কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কাজ শেষ হলেই যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম হবে। এরফলে শিলচর-গুয়াহাটির দুরত্ব কমবে এবং ছয় সাত ঘণ্টায় আসা যাওয়া করা সম্ভব হবে। এছাড়া বরাপানী থেকে বদরপুর ২২ হাজার কোটি টাকার এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সেইসঙ্গে শিলচরের ক্যাপিটাল পয়েন্ট থেকে রাঙ্গীড়খারি পর্যন্ত উড়ালপুলের জন্য ক্য়াবিনেট বৈঠকে ৫৬৪.৫০ কোটি অনুমোদন। তিনি আরও বলেন, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে অসম শীর্ষে রয়েছে বলে জানান তিনি। দিলীপ বলেন, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ১৪-১৫ লক্ষ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। রাজ্যের ২৯৬৫৬ টা বুথের মধ্যে ২৮০০০ হাজার বুথ কমিটি গঠন করেছে, এবং ৭২০০টি শক্তি কেন্দ্র, ৪৩৪টি মণ্ডল এবং ৩৯টি জেলা কমিটি গঠন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, আজ অরুণোদয় প্রকল্পের  সূচনা হয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ধন্যবাদ জানান।

এদিন কাছাড় জেলার অভিভাবক মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া বলেন, আজ রাজ্য জুড়ে অরুণোদয় তিন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ সকালে গুয়াহাটির খানাপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে অরুণোদয় তিন প্রকল্পের সূচনা করেন। বড়খলা বিধানসভা কেন্দ্রের ২২ নম্বর বুথ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নারী ক্ষমতায়নের প্রধান প্রকল্প ‘অরুণোদয় ৩.০’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি। জেলার মোট ১,৮১,৪৩৮ জন সুবিধাভোগী সরাসরি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, আজ রাজ্যের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমাদের জোট সরকার অসমের বৃহত্তম উদ্যোগ ‘অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্প’ চালু করেছে যাতে রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে সহায়তা করা যায়। ৩৮ লক্ষেরও বেশি মহিলা-নেতৃত্বাধীন অন্ত্যোদয় পরিবার সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১,২৫০ টাকা পাবে। আমি নিশ্চিত যে এই প্রকল্প অসমের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, আগামী মাস থেকে গণবন্টন বিভাগের চিন,ডাল ও লবণ লাভ করবেন জনগণ। সুলভ মূল্যে এই সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য ও জেলা সভাপতি রূপম সাহা উপস্থিত ছিলেন।

Spread the News
error: Content is protected !!